অচেনা মুখ -মোঃ হোসেন আলী
অচেনা মুখ
-মোঃ হোসেন আলী
সেই পুকুর হৃদে লুকানো স্মৃতি
মনে দোলা দেয় হারানো স্মৃতি,
ইতিকথা বাড়ায় বেদনা
খুঁজে বেড়ায় তার ঠিকানা।
খেজুর গাছের গুড়ি
সাজানো সারি সারি
বাঁশের গোড়ায় আটকানো
এমনিভাবে বানানোর ঘাট।
শ্রাবণ মাস বৃষ্টি ঝরা আকাশ
ঝিরিঝিরি বহে মুক্ত বাতাস
স্নানের লাগি ঘাটে নেমে
পায়ে পায়ে গিয়ে বসি,
গলা বুক পানি
পানিতে শব্দ কানে শুনি
আমার বুকে লুকিয়ে মুখ
চমকিয়ে চিৎকার হাকি
গায়ের সাথে গা মিলিয়ে
আত্মগোপন শাড়ির তালে
সে মুখ চেপে ধরো
বলে আমারে মিনতি করে
রাজাকার তাড়া করছে মোরে
প্রাণ বাঁচাতে রক্ষা কর।
ছুটে আসে পুকুর পাড়ে
একদল তরুণ রাজাকার
মোর তরে শুধায়
মুক্তিযোদ্ধা গেছে পালিয়ে
দেখেছো কি নয়নে?
ইয়া বড় ঘোমটা টেনে
তাদের জানাই,
আমি কভু দেখি নাই
আমার পিতা মুসলিম লীগ নেতা
পিস কমিটির চেয়ারম্যান
দলিল উদ্দিন মিয়া
আমি তার মেয়ে।
রাজাকার বাহিনীর দল
শোনা যাচ্ছে বুকের শব্দ
চলে গেলো রাস্তায়
কেটে গেছে ভয়।
ওঠে অচেনা নাগর
কেন তাড়া করছে তারা?
কে গো তুমি!
কিবা তোমার নাম?
তাড়াতাড়ি পানি
ছেড়ে উঠে
দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে
যাওয়ার সময় বলতে থাকে
আমি মুক্তিযোদ্ধা।
ষাট বছর কেটে গেল
তার দেখা পেলাম না
বেঁচে আছে কি অচেনা মুখ
মরণের আগে দেখার বড় সাধ
কামনা মাবুদ করিও বেহেস্ত নসীব
রণক্ষেত্রে মরন সে বীর শহীদ ।
No comments