Header top Ads

এবার বাশের আবেদন চাষী নুর আলীর


এবার বাশের আবেদন চাষী নুর আলীর


যশোরে একটি পুরাতন নাম আছে যেটা খেজুর গুড়ের যশোর। কিন্তু যশোরে খেজুর-গুড় সেই পরিমাণ না থাকলেও বর্তমান সময়ে, বৃক্ষ প্রেমিক নাঈম রেজার উদ্যোগে প্রায় হাজার হাজার তাল গাছ রোপন করা হয়েছে রাস্তার দুই সাইডে। কিন্তু কিছু সংখ্যক গাছ প্রায় ২০০ তালগাছ যা রোপন করা হয়েছে আরো ২০ বছর আগে। যেসব তালগাছে এখন তাল ধরে। এসব গাছগুলো রশের জন্য কাটলে, প্রায় ১৫০ টি তাল গাছ কাটা যায়। যা থেকে যোগান দেবে প্রচুর পরিমাণে রস এবং গুড়। লোকে বলে খেজুর গুড়ের থেকে তালের গুড় অনেক খেতে সুস্বাদু। 
গাছগুলো কাটার জন্য নাঈম রেজা নূর আলী কে বলেছিলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো তাল গাছ কাটার জন্য প্রত্যেকটি কাছে জন্য একটি করে বাশ প্রয়োজন হয়। 
নুর আলী জানান প্রত্যেকটি গাছের জন্য একটি করে বাশ যা তার পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব না। যশোরের পুরনো স্মৃতি, যশোরের ঐতিহ্য যদি ধরে রাখতে হয় নুর আলীকে বাঁশ দিয়ে সাহায্য করার বিকল্প আর কোন পথ নাই।
এই মুহূর্তে যদি তিনি এই সহযোগিতা পেয়ে যান, প্রচুর পরিমাণে তালের রস এবং গুড় উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন।

নুর আলী বলেন, আমি জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন টাকে পৌঁছাতে চাই, যদি তিনি সদয় হোন আমি তাকে যশোরের ঐতিহ্যকে উপহার দেব।

বৃক্ষপ্রেমিক নাঈম রেজা বলেন, আমি এই গাছগুলো রোপণ করেছি, শুধু গুড়ের আশায় নয়, তাল গাছ থেকে তালপাতার পাখা, পাকা তালের পিঠা, মজাদার রস ও গুড় সহ জেলেদের মাছ ধরার ঘুনি সহ প্রচুর পরিমাণ মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটাই। সত্যিই যদি নুর আলীর জন্য তেমন কোনো সহযোগিতা তিনি পেয়ে যান আমি মনে করব বৃক্ষরোপণ কোন অভিশাপ নয়, নিঃসন্দেহে এটি একটি মহৎ কাজ। নুরা আলীর সঙ্গে আমার আবেদন তাকে সহযোগিতা করে যশোরের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হোক।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিলুপ্ত হওয়া বাবুই পাখি এই এলাকায় আসতে শুরু করেছে। যেটা তার স্বপ্ন ছিল, সত্যিই মনে হয় পূরণ হতে চলেছে।


No comments

Powered by Blogger.