টু হান্ড্রেড- two hundred - নাঈম রেজা
টু হান্ড্রেড- two hundred
নাঈম রেজা
লেখালেখির জগৎ খুললে দেখা যায় বিভিন্ন ধরণের লেখা, আমার মনে হয় সমস্ত মানুষ যখন এক জন ভাল মানুষ, বইয়ের বা সমচলোনার মাঝে বেড়ে উঠে তখন সে ঠিক এক জন মেধাবী হয়। মেধাবী হলেই কি কবি সাহিত্যিক হওয়া সম্ভাব? না। আমি যখন ক্লাস টু-তে পড়ি তখন আমার লেখা একটি গল্প হল two hundred (টু হান্ড্রেড) সত্য কার অর্থ সাহিত্য আমায় ছাড়েনা, মা লাঠি নিয়ে বসে একটা কলম খাতা দিয়ে “আম পাতা জুড়া জুড়া” লিখতে দেয়, আর আমি লিখি নারিকেলের পাতা চেরা চেরা-তার মাথায় ঢেমু ঢুমা। যাই হোক এসব কথা বলতে গেলে আমার ছোট গল্প হয়ে যাবে অতি লেখার থাকবেনা কোন গতি, আমারি সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা, সেটা হতে পারে আজ গল্প, কবিতা, ছড়া, নাটক ইত্যাদি। ছোট কাল থেকে রবী, আমার মনে হয় সমস্ত মানুষের মাঝে দেখা যায়। না পড়তেই রবীঠাকুরের বই ভাল বেসেছি। আর তার গল্প পড়ে আমার ও লিখতে ইচ্ছা হয়। তারপর দেখলাম নজরুলের দুঃখ মিয়া এই বই পড়া মাত্র আমার হৃদয় ছুয়ে গেল এবং এই থেকে সাহিত্যের মনোভাব। এখন আমরা আসি আমাদের চার পাশের ঘটে যাওয়া ছোট একটি ঘটনায়, যদিও ঘটনা সত্য, সবাই কিন্তু বিশ্বাস পর হয়ে উঠবে না। কেননা সাহিত্যের মধ্য কিন্তু মতভেদ আছে নয়তো সাহিত্যের মর্ম থাকেনা। যেমন আলো না আসলে অন্ধকার অনুভাব করা যায় না। অনুরুপ সাহিত্যের মধ্য ভাল-মন্দ মতভেদ না থাকলে সেটা মজার হয় না। সেটা কারও চোখে লাগবে ভালো আর কারও চোখে লাগবে খারাপ, যাক আমরা আসি গাও গ্রামের হাস্য গল্পে। পুরন এবং বুড় সে আবার গ্রামের মাতব্বর। মুটা মুখে খোচা গোফ। গ্রামের সমস্ত দ্বন্ধ ফ্যাসাদ সেই মিমাংসা করে। এতে আর বুঝতে আপনার কোন সমস্য হচ্ছে বলে মনে হয় না। সে কেমন মানুষ? শিক্ষার দিক থেকে একে বারে নেই বললেই চলে। তবে আবার বলবেন, তবে কি গ্রামের সব মানুষ মুর্খ? নয়লে কেন সবাই তাকে মাতবর বানাবে? আসলে আপনারা জানেন মুর্খ লোক বকে বেশি। আর প্রতিভা সবার উর্দ্ধে, যদিও মুর্খ লোক বেশি বকে এদের মাঝে কিছু সংখ্যক লোক আছে যারা খুব গুরুতর কথা বলে থাকে। তবে এবের ছিল এই ধরণের লোকের এক জন। এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই সবাই তাকে এক দিন মাতব্বর বলে গন্য করল। তাই যে মাতব্বর! অন্য কিছুনয়, তার আছে সংসার, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি পরিবারে তার স্ত্রী, দু’ছেলে, এক মেয়ে। ছেলে রফিকুল সবার বড়, আইন বিধি মোতাবেক তার বোনের বিবাহটা আগে দিয়ে দিল। তার নিচে অবশ্যই একটা ভাই রয়েছে তার নাম ইব্রাহীম। নাম খুব ভাল থাকার সত্তেও সব্ইা তাকে বাপের নাম অনুসারে ভাই “ইব্রা” বলে ডাকে। তাতে সে একে বারে মানুষের উপর ক্ষিপ্ত। অসন্তুষ্ট, এই দিন কিছু মাত্র রফিকুল বিয়ে করল। সুন্দর ফুটফুটে একটা চন্দ বদনে বউ আনল ঘরে। বেশ কিছু দিন কাটল তাদের জীবন। স্বামী স্ত্রীর মাঝে কোন প্রকার দ্বিধা দন্ধ নেই, সুখের পরিবার। পরিবারে সামান্য আর্থিক অবস্থা শংকট, এক এক সময় এক এক রকম চলে। এখন বৈশাখ মাস দিন বড় কষ্টে কাটছে। কেননা ঘরে নেই ধান পকেটে নেই টাকা হাতে নাই ময়লা! স্ত্রী এক রাতে স্বামী কে বলছে ওগো, এই শোন! আমার শাড়ি নেই, একটা শাড়ী কিনে দাওনা। রফিকুল শুধু মাত্র শুনে রাখলো, কোন কথার উত্তর সে দিলো না। স্ত্রী কাজলের এদকে পরনের শাড়ী একে বারে ছিড়ে গেছে। আবার বললো, একদিন দু’দিন, তিন দিন এই ভাবে অনেক থেকে অনেক বার বলা হলো। কিন্তু রফিকুল একটা শাড়ি তাকে দিলো না। একদিন তার বাপের বাড়ি গেল রফিকুল কিছু বললো না, আজ বেশ কিছু দিন হচ্ছে।¬ সে বাবার বাড়ি গেছে, এবের তার ছেলেকে ডেকে বললো, বউ মা তো গেল আজ বেশ অনেক দিন হতে গেল তো যা বউকে নিয়ে আয়। সে দিন সে গেল না । বেশ দু-এক দিন পর সে শ্বশুর বাড়ি গেল। স্ত্রীকে আনতে রফিকুল গেল। একাদিন থাকল, বাড়ি আসার জন্য প্রস্তুত। স্ত্রীর একটা শাড়ি পরা লাল রংগের পাড়। রফিকুল দেখে তার স্ত্রীর কাছে জিজ্ঞাসা করলো এই শাড়ি কার? স্ত্রী উত্তর দিল my, কে দেছে? my father কত নিয়েছে শাড়ি? two hundred কথা গুলি শুনে রফিকুলের মাথা আগুন! বেহুস হবার মত। সে স্ত্রীকে বললো তুমি একটু অপেক্ষা কর আমি আসি। বলে রফিকুল চলে আসতে গেল, স্ত্রী তার আসতে দিতে না খোচ করলো। রফিকুল বুঝালো, দেখ এখন আমার অনেক জায়গায় কাজ আছে, আমি যদি তোমার নিয়ে যাই তবে, আমার কাজ বন্ধ থেকে যাবে। তার চেয়ে কাল নিরিবিলি এস তোমার নিয়ে যাব। নয়তো আব্বা এসে তোমাকে নিয়ে ডাবে। বেশ ভাল রফিকুল বাড়ি চলে এলো। এসে কেন তাকে এত গালি গালাস দিল? একি বিশ্রী ভাষা, শোন আব্বা কি কি বলেছে। বাব জিগাইল কি বলেছে বাবা? সে আব্বা যা তা বলেছে। বলল কি বলতে পারবি? বিনা দ্বিধায় বলে ফেললো একবার my, my father, two hundred বলেছে। শুনে এবেরের মাথাও গরম হয়ে গেল এমন গালি কেন দিল? রেগে মেগে বললো যা তুই নিশ্চিন্তায় থাক আমি যাব। হয় এবার তালাক দেব, নয়তো কোন একটা ফয়সালা করে আসবো। বলে এবের আসল ব্যায়ের বাড়ি। তারা সবাই তার কাছে ভাল মন্দ জিজ্ঞাসা করছে, কিন্তু সে কোন উত্তর দিচ্ছে না। তার মনের মাঝে আগুন দাও দাও করে জ্বলছে। প্রথমে ব্যায়কে ডাকলো শোন ব্যায় এখন আমি তোমার বাড়ি কুটুম তালি করতে আসেনি। শুনে ব্যায় সাহেব হতভম্ব ! কি হয়েছে ব্যায়, খুলে বলেন। খুলে বলা বলির কিছু নেই তোমার মেয়ে না হইলে যে আমার ছেলের বউ জুটবে না। এমনতো কোন কথা নেই, শোনেন একটু বুঝাই বলেন, কিছুতেই সে বলতে রাজি না। আসলে তো ভুল এবেরের হচ্ছে কিন্তু সেটা বুঝতে পারছে না। যাই হোক পরে বলল আমার ছেলে এসেছে নিতে আর তোমার মেয়ে যা তা আবল তাবল গালি গালাস করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিল এর মানে কি? কি কন ব্যায়! এখন বুঝি অবাক হচ্ছেন না? আজ এই গ্রামের মানুষ ডাকবো। যথারীতি গ্রামের মানুষ ডাকা হলো। সবাই মিলে যখন উক্ত কথার উপর আলাপ আলোচনা করছে। তখন সবাই সমার্থন দিল বিষয়টা আমাদের ব্যায় এবের কাছে একটু শুনতে চাই । এবের সমস্ত কথা বললো। লাষ্টে সেই গালি গুলি তুলে ধরলো প্রথমে my দ্বিতীয় my father তৃতীয় two hundred, উক্ত মিটিং এর সবাই হি হি হো হো.... করে হেসে উঠলো। কেননা আসলে এটা তো গালি নয়। এই সময় এবেরের মাথা এক বারে হিন নিচ হয়ে গেল। কারণ একটা বোকা বলে বিবেচিত হলেন সবার সামনে তাছাড়া কোন ফল পাওয়া গেলনা। এট হলো মুর্খের দশা। আর এমন কিছু ছোট কথা কিছু ভুল মানুষের জীবনের কাল হয়ে যায় \
No comments