ভাল মানুষ কি ভাবে সিজার হয়।- নাঈম রেজা
ভাল মানুষ কি ভাবে সিজার হয়।
নাঈম রেজা
মনিটার টা অনেক দিন যাবত পড়ে আছে। একটা পিসি কিনলে মাঝে মাঝে সময় পাচ করা যেত। সুজন দৌড়ে চলে গেল তার পরিচিত রিকন্ডিশন কম্পিউটার সেলস্ এন্ড সার্ভিসিং সেন্টারে। সেখানে গিয়ে সে একটি পিসি কিনলো। অল্প দামে আর কি বা হবে। কিন্তু বাড়ি নিয়ে যাবার পর দেখে পিসি ওয়ান হচ্চে না। তাহলে কি পিসি নষ্ট? ছোট ভাই নুরুদ্দিন আবার কম্পিউটারের হার্ডওয়ার সম্পর্কে বোঝে। তাই নুরুদ্দিন কে সুজন বলল ভাই পিসি টা দেখ তো কোন সমস্য হলো কিনা। বলে সুজন অফিসে চলে এলো । রাতে নুরুদ্দিন ফোন করে বলল ভাই পিসি ঠিক আছে। আপনার মাল্টি প্লাগ নষ্ট, একটা মাল্টিপ্রাগ কিনে আনবেন। সুজন মাল্টিপ্লাগ কিনে নিয়ে দেখে পিসি অন হচ্ছে কিন্তু মনিটারে লাইন পাচ্ছে না। সুজন ভাবলো অনেক দিন পড়ে থেকে হয়তো কিছু হতে পারে। সেই পরিচিত রিকন্ডিশন কম্পিউটার সেলস্ এন্ড সার্ভিসিং সেন্টারে মনিটার টা নিয়ে গেল। সার্ভিস মিস্ত্রী বললো রেখে যান আমি পরে দেখবো। সুজন তাই করলো। এক দিন দু দিন পার হলো কিন্তু এখনো দেখেনি। সুজন বার বার তাগেদা দেওয়ার পর বললো এই মনিটারে আর কোন কাজ হবে না। এটা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। আমি শুধু তোমার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পাছি না। আরও কিছু মুখ খারাপ করে কথা বললো। মানে সে বোঝাতে চাইলো এই মনিটার ঠিক করার চেয়ে ফেলে রাখা অনেক ভালো। এক পর্যায় সে বললো 500 টাকা খরচ করার কথা আমি তোমাকে কি ভাবে বলি। তার পরও যদি ঠিক না হয়? সুজন বললো চেষ্টা করে দেখেন কারণ আমার তো খুব দরকার , যে পিসি টা কিনলাম তা এখনও ওয়ান করতে পারিনি। সার্ভিস ম্যান বলল আচ্ছা আজ ঠিক করে দেব। সুজন অফিসে এসে কাজ শুরু করলো। কিছুক্ষণ পর সার্ভিস ম্যান হাপাতে হাপাতে সুজনে অফিসে এসে জানালা দিয়ে বললো মনিটার ঠিক হয়ে গেছে রাতে নিয়ে যান। সুজনে মনে সন্দেহ হলো “যান” কেন বললো আর হাপাহে হাপাতে কেন এলো? যাই হোক দোকান খুলে রেখে এসেছে তো তাই হয়তো হবে। কিছুক্ষণ পর সুজন গেল মনিটার নেওয়ার জন্য । গিয়ে দেখে মিস্ত্রী খুব উন্যমস্ক উন্মাদ, এত উদাসীন আগে কোন দিন তাকে দেখিনি। মনে হলো সে কিছু লোকালো। কিন্তু কি হতে পারে। যাই হোক সে বললো তোমার 1200 টাকা খরচ হয়েছে।আই সি লাগাই নিয়ে এসেছি অন্য দোকান থেকে, তার টাকা রাতে পৌছায়ে দিতে হবে। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সে অনেক বার মুখ খারাপ করে কথা বললো। টেনে হিচড়ে সে মনিটার টা সেটিং করলো। কয়েকটা ক্লিপ সে ভেঙ্গে ফেললো। সুজনের মনে খুব কষ্ট লাগছে। কারন মনিটার টা তার খুব প্রিয়। আর প্রিয় জিনিসটা যদি এমন হয় তবে…...। সার্ভিস ম্যান বললো ভাই টাকা দিয়ে নিয়ে যান। তার দু রকম কথার মাঝে সুজনের সন্দেহ হলো “যান” আর “ তোমার” সে যেন কিছু লুকাচ্ছে। যাই হোক টাকা দিয়ে সে মনিটার নিয়ে গেল। বাড়ি গিয়ে দেখে মনিটার লাইন পাচ্ছে না। মনটা আরও খারাপ হলো সুজনের। সকাল বেলা আবারও মনিটার নিয়ে সে রিকন্ডিশন কম্পিউটার সেলস্ এন্ড সার্ভিসিং সেন্টারে আসলো। এখানে এসে দেখে মনিটর চলছে । সার্ভিস ম্যান মুখ খারাপ করে বললো তুমি কম্পিউটার চালাতে পারো না। শুধু আমাকে জ্বালাও। কিছু না বলে সে নিয়ে আবার বাড়ি গেল। গিয়ে দেখে একই অবস্থা। পাওয়ার ক্যাবল খুলে নতুন পাওয়ার ক্যাবল লাগিয়ে দেখে ঠিক আছে। সে সময় ছোট ভাই নুরুদ্দিন এলো। সুজন বললো নুরুদ্দিন ভাই আমার নতুন মনিটার টা এ ভাবে নষ্ট হয়ে গেল । 1200 টাকা খরচ করতে হলো। নুরুদ্দিন চমকে উঠে বলছে কেন? মনিটার তো কাল চললো! আমি তো চালালাম আপনি তো বললেন পিসি ঠিক আছে কিনা । আমি তো এই জন্য শুধু পিসির কথা বললাম, আর মনিটর ভাল আমি আপনার বলার কোন যুক্তিই মনে করে নি। সুজন মনকে বুঝাবার জন্য বললো ওটি তে সব সমান। ওখানে ভাল আর মন্দ বলে কিছু নেই……..
মনিটার টা অনেক দিন যাবত পড়ে আছে। একটা পিসি কিনলে মাঝে মাঝে সময় পাচ করা যেত। সুজন দৌড়ে চলে গেল তার পরিচিত রিকন্ডিশন কম্পিউটার সেলস্ এন্ড সার্ভিসিং সেন্টারে। সেখানে গিয়ে সে একটি পিসি কিনলো। অল্প দামে আর কি বা হবে। কিন্তু বাড়ি নিয়ে যাবার পর দেখে পিসি ওয়ান হচ্চে না। তাহলে কি পিসি নষ্ট? ছোট ভাই নুরুদ্দিন আবার কম্পিউটারের হার্ডওয়ার সম্পর্কে বোঝে। তাই নুরুদ্দিন কে সুজন বলল ভাই পিসি টা দেখ তো কোন সমস্য হলো কিনা। বলে সুজন অফিসে চলে এলো । রাতে নুরুদ্দিন ফোন করে বলল ভাই পিসি ঠিক আছে। আপনার মাল্টি প্লাগ নষ্ট, একটা মাল্টিপ্রাগ কিনে আনবেন। সুজন মাল্টিপ্লাগ কিনে নিয়ে দেখে পিসি অন হচ্ছে কিন্তু মনিটারে লাইন পাচ্ছে না। সুজন ভাবলো অনেক দিন পড়ে থেকে হয়তো কিছু হতে পারে। সেই পরিচিত রিকন্ডিশন কম্পিউটার সেলস্ এন্ড সার্ভিসিং সেন্টারে মনিটার টা নিয়ে গেল। সার্ভিস মিস্ত্রী বললো রেখে যান আমি পরে দেখবো। সুজন তাই করলো। এক দিন দু দিন পার হলো কিন্তু এখনো দেখেনি। সুজন বার বার তাগেদা দেওয়ার পর বললো এই মনিটারে আর কোন কাজ হবে না। এটা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। আমি শুধু তোমার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পাছি না। আরও কিছু মুখ খারাপ করে কথা বললো। মানে সে বোঝাতে চাইলো এই মনিটার ঠিক করার চেয়ে ফেলে রাখা অনেক ভালো। এক পর্যায় সে বললো 500 টাকা খরচ করার কথা আমি তোমাকে কি ভাবে বলি। তার পরও যদি ঠিক না হয়? সুজন বললো চেষ্টা করে দেখেন কারণ আমার তো খুব দরকার , যে পিসি টা কিনলাম তা এখনও ওয়ান করতে পারিনি। সার্ভিস ম্যান বলল আচ্ছা আজ ঠিক করে দেব। সুজন অফিসে এসে কাজ শুরু করলো। কিছুক্ষণ পর সার্ভিস ম্যান হাপাতে হাপাতে সুজনে অফিসে এসে জানালা দিয়ে বললো মনিটার ঠিক হয়ে গেছে রাতে নিয়ে যান। সুজনে মনে সন্দেহ হলো “যান” কেন বললো আর হাপাহে হাপাতে কেন এলো? যাই হোক দোকান খুলে রেখে এসেছে তো তাই হয়তো হবে। কিছুক্ষণ পর সুজন গেল মনিটার নেওয়ার জন্য । গিয়ে দেখে মিস্ত্রী খুব উন্যমস্ক উন্মাদ, এত উদাসীন আগে কোন দিন তাকে দেখিনি। মনে হলো সে কিছু লোকালো। কিন্তু কি হতে পারে। যাই হোক সে বললো তোমার 1200 টাকা খরচ হয়েছে।আই সি লাগাই নিয়ে এসেছি অন্য দোকান থেকে, তার টাকা রাতে পৌছায়ে দিতে হবে। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সে অনেক বার মুখ খারাপ করে কথা বললো। টেনে হিচড়ে সে মনিটার টা সেটিং করলো। কয়েকটা ক্লিপ সে ভেঙ্গে ফেললো। সুজনের মনে খুব কষ্ট লাগছে। কারন মনিটার টা তার খুব প্রিয়। আর প্রিয় জিনিসটা যদি এমন হয় তবে…...। সার্ভিস ম্যান বললো ভাই টাকা দিয়ে নিয়ে যান। তার দু রকম কথার মাঝে সুজনের সন্দেহ হলো “যান” আর “ তোমার” সে যেন কিছু লুকাচ্ছে। যাই হোক টাকা দিয়ে সে মনিটার নিয়ে গেল। বাড়ি গিয়ে দেখে মনিটার লাইন পাচ্ছে না। মনটা আরও খারাপ হলো সুজনের। সকাল বেলা আবারও মনিটার নিয়ে সে রিকন্ডিশন কম্পিউটার সেলস্ এন্ড সার্ভিসিং সেন্টারে আসলো। এখানে এসে দেখে মনিটর চলছে । সার্ভিস ম্যান মুখ খারাপ করে বললো তুমি কম্পিউটার চালাতে পারো না। শুধু আমাকে জ্বালাও। কিছু না বলে সে নিয়ে আবার বাড়ি গেল। গিয়ে দেখে একই অবস্থা। পাওয়ার ক্যাবল খুলে নতুন পাওয়ার ক্যাবল লাগিয়ে দেখে ঠিক আছে। সে সময় ছোট ভাই নুরুদ্দিন এলো। সুজন বললো নুরুদ্দিন ভাই আমার নতুন মনিটার টা এ ভাবে নষ্ট হয়ে গেল । 1200 টাকা খরচ করতে হলো। নুরুদ্দিন চমকে উঠে বলছে কেন? মনিটার তো কাল চললো! আমি তো চালালাম আপনি তো বললেন পিসি ঠিক আছে কিনা । আমি তো এই জন্য শুধু পিসির কথা বললাম, আর মনিটর ভাল আমি আপনার বলার কোন যুক্তিই মনে করে নি। সুজন মনকে বুঝাবার জন্য বললো ওটি তে সব সমান। ওখানে ভাল আর মন্দ বলে কিছু নেই……..
No comments