Header top Ads

প্রাথমিক শিক্ষার সহায়ক তথ্য


প্রাথমিক শিক্ষার সহায়ক তথ্য
যোগ্যতা কী ঃ
যোগ্যতা হলো কোন ব্যক্তির এমন বৈশিষ্ট্য যার ভিত্তিতে সে কর্মক্ষেত্রে ফলপ্রসুভাবে উল্লেখযোগ্য কোন কর্ম সম্পাদন করতে পারে।
শিক্ষক যোগ্যতা ঃ
একজন শিক্ষক যখন তার পেশাগত জীবনের প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয় ঘটিয়ে এর মাধ্যমে তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন এবং নতুন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন তখনই তিনি যোগ্য বলে বিবেচিত হন। যেমন, একজন শিক্ষককে কীভাবে শিক্ষার্থীদের উদ্দীপ্ত করতে হবে তার কলাকৌশল জনতে হয় এবং শ্রেণীতে প্রয়োগের মাধ্যমে অনুশীলন করতে হয়। এভাবে শিশুদেরকে উদ্দীপ্ত করার দক্ষতা অর্জনের পর একজন শিক্ষক তার পেশাগত জীবনের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যে কোন সময়ে এ দক্ষতাকে আতœবিশ্বাসের সাথে প্রয়োগ করতে সক্ষম হন।
শিক্ষক যোগ্যৗতার ক্ষেত্র ৩টি ঃ
১। পেশাগত জ্ঞান ২) পেশাগত অনুশীলন ৩) পেশাগত মূল্যবোধ ও সম্পর্ক স্থাপন
প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ঃ
শিশুর শারীরিক,মানসিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানবিক, নান্দনিক ও আবেগিক বিকাশসাধন এবং তাদের দেশাত্ববোধে, বিজ্ঞানমনস্কতায়, সৃজনশীলতায় ও উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ করা।
শিখনফল ঃ
কোন একটি পাঠ শেষে শিক্ষার্থীরা কী জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করবে তার পূর্ব নির্ধারিত, সুস্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত বিবৃতি বা বাক্য হলো শিখনফল।
     কোন নির্দিষ্ট পাঠ শেষে একজন শিক্ষার্থী যা যা শিখবে বলে আশা করা হয় তাই শিখনফল।
     পাঠের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল রেখে ঐ পাঠের কাঙ্খিত লক্ষ্য কী হলে অর্থাৎ শিশু কী জানবে, কী দক্ষতা অর্জন করবে ও কী
      দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে বলে আশা করা হয়েছে বা শিক্ষক আশা করেন তাই শিখনফল।
শিখনক্রম ঃ
কোন একটি প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জনের জন্য শ্রেনীভিত্তিক প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে চুড়ান্ত পর্যায় ঐ যোগ্যতার বিভাজিত অংশের ক্রমবিন্যাসকে শিখনক্রম বলে।
শিক্ষাক্রম ঃ
শিক্ষাক্রম হলো কোন বিশেষ স্তরের শিক্ষা সম্পর্কিত কার্যক্রম ও অভিজ্ঞতার পূর্ণাঙ্গ দলির যা কোন দায়িত্বশীল সংগঠন দ্বারা গৃহীত ও পরিচালিত হয়।
প্রান্তিক যোগ্যতাঃ
পাঁচ বছর মেয়াদী প্রাথমিক শিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা যে যোগ্যতাগুলো অর্জন করবে এবং শিক্ষার্থীদের কতটুকু আচরনিক পরিবর্তন, কতটুকু জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের বিকাশ ঘটবে প্রত্যাশা করা যায়, সেগুলোকে প্রাথমিক শিক্ষার প্রান্তিক যোগ্যতা বলা হয়।
বিষয় ভিত্তিক প্রান্তিক যোগ্যতাঃ
১১টি বিষয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাশেষে ২৯টি প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জিত হয়। এ ২৯টি প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রত্যেক বিষয়ের জন্য পৃথক যোগ্যতাসমুহ নির্ধারিত রয়েছে যা শিক্ষার্থী কোন নির্দিষ্ট বিষয় ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয় শেষে অর্জন করে। এসব যোগ্যতাকে বিষয়ভিত্তিক প্রান্তিক যোগ্যতা বলে।
শ্রেনীভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা ঃ
সাধারনত ঃ নির্ধারিত কোন যোগ্যতা অর্জনের প্রক্রিয়া ১ম শ্রেণীতে শুরু হয়ে ৫ম শ্রেণীতে শেষ হয়। তবে কোন কোন যোগ্যতা মধ্যবর্তী শ্রেণীতে শুরু ও শেষ হয়। ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ধাপে ধাপে অর্জনযোগ্য প্রান্তিক যোগ্যতাগুলোকে শ্রেণী ভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা বলা হয়।

No comments

Powered by Blogger.