ছয়শত ফলদ বৃক্ষ বিতরণ 2022
এখনে দেশী ফলজ বৃক্ষ বলতে বুঝানো হয়েছে যে:
1) সরাসরি দেশীয় ফলের ভাল বীজ হতে জন্ম নেয়া চারা গাছ।
2)অনেক ঔষধী গাছ ও দেশীয় ফলজ গাছের আওতায় পরে।
3)কলম পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত চারা গাছ নয়।
4) হাইব্রিট পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত চারা গাছ নয়।
আসুন জেনে নেই দেশীয় বা মৌসুমী ফলজ বৃক্ষ ও দেশীয় ঔষধী বৃক্ষের সংক্ষেপে কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা:-
উপকারিতা:-
1) এ জাতীয় গাছ কলম বা হাইব্রিট গাছ হতে অনেক বড় হয় এ জাতীয় গাছ।
2) এ গাছ কলম গাছ হতে অনেক শক্ত হয়।
3) অনেক বছর বেচে থাকে কলম বা হাইব্রিট গাছ হতে।
4) আকারে বড় ও শক্ত হওয়ার ফলে কাল বৈশাখী ঝরকে মুকাবিলা করতে পারে বনজ বৃক্ষের মত যা কলম বা হাইব্রিট গাছ পারেনা।
5) কলম ও হাইব্রিট গাছ হতে আকারে বড় ও শক্ত হওয়ার ফলে এ জাতীয় গাছ হতে ভাল কাঠ বেশি পরিমানে পাওয়া যায়।
অপকারিতা:
1) এ জাতীয় গাছ কলম ও হাইব্রিট গাছ হতে তুলনামুলক বৃদ্ধি আস্তে আস্তে হয়।
2) এ জাতীয় গােছ কলম ও হাইব্রিট গাছ হতে তুলনামুলক 7-8 বছর বেশি সময় পর ফল আসে।
3) এ জাতীয় গােছ কলম ও হাইব্রিট গাছ হতে তুলনামুলক বেশি যায়গা নেয়।
4) এ জাতীয় গােছ কলম ও হাইব্রিট গাছের মত শহরের ছাদে রোপন করা সম্বভ নয়।
দেখা গেল যে দেশীয় ফলজ বৃক্ষের উপকারিতাই বেশি। তাই আমরা বৃক্ষ রোপন করলে প্রথমেই দেশীয় ফলজ বৃক্ষকেই প্রাধান্য দিব তার পর কলম ও হাইব্রিট জাতীয় গাছ, ঔষধী, বনজ বৃক্ষ।
বিস্তারিত আলোচনা:-
আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। 1971 সালে মুক্তি যোদ্ধে বিজয় এর পর থেকে এখন পর্জন্ত বাংলাদেশের আয়তন প্রায় একই রয়েছে কিন্তু জনসংখ্যা বিপুল হারে বৃদ্ধী পাচ্ছে।যেহেতু বাংলার জনসংখ্যা বিপুল হারে বৃদ্ধী পাওয়ার পাশাপাসি থাদ্য চাহিদাও বৃদ্ধী পাচ্ছে।আর এ বিসাল জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা পুরন হয় প্রধানত ফসলি জমি হতে উৎপন্য নানান ফসল বা শস্য যেমন ধান, গম,ডাল,শাক ও সব্জি ইত্যাদি। আর দিতীয় উৎস হচ্ছে নানান প্রকার ফল, তা বেসির ভাগই বিদেশী ফল ও কিছু পরিমানে দেশী মৌসুমী ফল এগুলোও আবার ফরমালিন যুক্ত।দেশীয় মৌসুমী ফল খাদ্যের চাহিদা পুরনে তেমন একটি ভূমিকা রাখতে পারছেনা নানান কারনে, যেমন,গাছ কাটা,ঝরে গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়া,বসত বাড়ি তৈরি করা ও বনজ গাছ ওস সুন্দর্য বর্ধক গাছ রোপনের উপর প্রায় সকলে বেশি মনোজুগি হওয়া ইত্যাদি। এতে বলা যায় যে হাতে গুনা কয়েকটি মৌসুমী ফলজ গাছ ছাড়া প্রায় সকল ফলজ গাছই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে।
একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে ফসলি জমি কমছে,ফলজ গাছ কাটা হচ্ছে ঝরে ভেঙ্গে যাচ্ছে কিন্তু তেমন একটা লাগানো হচ্ছে না। আর এ বিপুল জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মাথায় রেখে যে সকল হাইব্রিট ও কলম প্রকৃতির গাছ রোপন করা হচ্ছে তাও আবার সিমিত ও বাণিজ্যিক ভাবে।
আর যদিও কলম ও হাইব্রিট ফলজ গাছ কিছু পরিমানে ব্যাক্তি গত ভাবে তা কোন কারনে নষ্ট হয়ে গেলে সেই একই স্থানে আমরা আর একটি গাছ লাগাতে আমরা ভুলে যাই। হাইব্রিট ও কলম জাতীয় গাছ নষ্ট হয় বেশি দেশিয় ফলজ গাছের তোলনায়। হাইব্রিট ও কলম গাছ রোপনের অল্প সময় পর বেশি পরিমানে ফল দেয় কিন্তু তা আবার দেশিয় ফলজ গাছ এর তোলনায় কম বছর দেয়। হাইব্রিট ও কলম গাছ আকারে ছুট হয় ও কম বছর টিকে থাকে তাই নানান প্রাকৃতিক দূযোগে দেশিয় ফলজ গাছের মত উপকারে আসে না।
কলম ও হাইব্রিট গাছ রোপন করব যায়গা ভেদে। মানে হচ্ছে যে, যে সকল সল্প যায়গাতে আমরা দেশিয় ফলজ গাছ রোপন করতে পারবনা যায়গা সল্পতার কারনে সে সকল যায়গায় আমরা কলম ও হাইব্রিট ফলজ গাছ রোপন করব।
যেহেতু দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধী পাচ্ছে তাই এ বিসাল জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা ফসল বা রবি সশ্য হতে কমিয়ে দেশিয় মৌসুসী ফলের উপর বাড়ানো যায়।এতে করে দেশের বিসাল জনসংখার ভিটামিন,পুষ্টি ও খাদ্য চাহিদা পুরন হবে এবং এতে কার্বোহাইড্রেট গহন কমবে ও এন্টিআক্সিডেন্টের গ্রহন বাড়বে।
বনজ এ সুন্দর্য বর্ধক গাছ প্রধানত যে সকল উপকার করে তা হল যে,বনজ এ সুন্দর্য বর্ধক গাছ আকারে বড় ও শক্ত হওয়ায় এতে বেশি ও ভাল মানের কাঠ পাওয়া যায় এবং জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন পাওয়া যায় আর সাথে স্থানের সুন্দর্য বৃদ্ধী করে।উপরে উল্যেখিত উপকারিতা গুলি দেশীয় মৌসুমি অনেক ফলজ গাছ দিয়ে থাকে ও এগুলোর পাসাপাসি বাড়তি ফলও দিয়ে থাকে।
তাই বলি যে আসুন আমরা আজ থেকে 8/10 বছর একটি বনজ গাছ না রোপন করে একটি দেশীয় মৌসুমী ফলজ বৃক্ষ বা গাছ রোপন করি।
"আসুন আমরা সকলে একটি করে দেশীয় ফলজ বৃক্ষ রোপন করি ও অন্যকে অনুপ্রানিত করি এবং তার যত্ন করি।"
আসুন এবার জেনে নেই দেশীয় মৌসুমী ফলজ বৃক্ষ রোপনের উপকারিতা:-
খাদ্য চাহিদা: যদি আজ আমি, কাল আপনি,পোরসু অন্যকেহ এভাবে 8/10 বছর আমরা দেশীয় ফলজ বৃক্ষ বোপন করে যাই আমরা তাহলে 15-25 বছর পর দেশীয় বা মৌসুমি ফলের উৎপাদন অনেক পরিমানে বৃদ্ধি পাবে।ফলের উৎপাদন বৃদ্ধী পেলে খাদ্যের চাহিদাও মিটাবে বেশি পরিমানে।
জীব বৈচিত্র রক্ষা:যে সকল জীব, পসু, পাখি নানান ফল খেয়ে বেচে থাকত তারা আজ হুমকির মুখে ফলজ গাছ কমে আসার কারনে।বেশি পরিমানে ফলজ গাছ রোপনে সে সকল জীবের বেচে থাকা অনেক অংসে নিশ্চাত হবে।
প্রাকৃতীক দূর্যোগ হতে রক্ষা: দেশীয় ফলজ গাছের পরিমান বাংলাদেশে বেশি হয়, আবার তা যদি আকারে বড় ও শক্ত হয় তা হলে প্রাকৃতীক দূর্যোগ মুকাবিলাতে গুরুত্তপূর্ন ভূমিকা রাখবে।
দেশের অর্থনিতিতর অবদান: যদি দেশে প্রচুর পরিমানে ফল উৎপাদন হয় তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশে রপ্তানি করে প্রচুর অর্থ পাওয়া যাবে।ফল দেশের অর্থনিতিতে দুই ভাবে অবদান রাখতে পারে (1) সরকারি ভাবে (2) ব্যাক্তি গত ভাবে।
# সরকারি ভাবে: বাংলাদেশের নানান সরকারি প্রতিষ্টানের জায়গাতে যদি দেশিয় ফলজ গাছ রোপন করে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়, তাহলে উৎপাদিত ফল টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ সরকার আয় করতে পারবে। সাথে কম খরচে তালগাছ রাস্তার সাইড দিয়ে লাগালে 20 বছর পর এটা একট প্রদর্শনীয় স্থান হতে পারে এবং প্রচুর অর্থ অর্জন হবে। যা দেশ জাতী, রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য খুব প্রয়োজন।
# ব্যাক্তি গত ভাবে: ব্যাক্তি গত ভাবে যদি পতিত বা খালি যায়গাতে মৌসুমি ফলজ গাছ রোপন করে ফল উৎপাদর বাড়ানো যায় তাহলে ব্যাক্তি গত চাহিদা মিটিয়ে বাকি ফল গুলি বাজারে বিক্রি করে অর্থ আয় করা সম্বব।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধী: দেশের নানান মৌসুমী ফল গুলিতে নানান ধরনের ভিটামিন,খনিজ,মিনারেল এর পরিমান ফল ও মৌসম ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।অর্থাৎ এমন বলা যায় যে মানুষ ও পসু পাথির নানান মৌসমে যে সকল রোগ হতে পারে ঐ সকল উপাদানের অভাবে সে সকল উপাদানই সে সকল ফলে পরিমানমত থাকে। আমরা যদি মৌসুমি ফলের উৎপাদন বৃদ্ধী করতে পারি তাহলে মানুষ পরিমানমত ফলপাবে ও খাবে তাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধী পাবে।
ফরমালিন প্রয়োগ কমবে: বর্তমানে যেকোন দেশীয় ফলের উৎপাদন কম তাই ফলের মূল্য ও বেশি।তাই এ বেশি মূল্যের ফল কোন ব্যাবসায়ীই নষ্ট হতে দিতে চায়না তাই বেশিদিন সংরক্ষনকরে বিক্রি করার উদ্ধেশ্যে ফরমালিন ব্যাবহার করে।যদি ফল উৎপাদন বৃদ্ধী পায় এতে মূল্যও তুলনামুলক কমবে এবং ফরমালিন প্রয়োগ কমবে।
আঞ্চলিক ভাবে চাহিদা মিটবে: অঞ্চল বা জেলা ভিত্তিক ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তাতে ঐ জেলার বা অঞ্চলের চাহিদা সে অঞ্চলের ফল থেকেই মিটবে। মানে হচ্ছে যে, এক জেলার ফলের চাহিদা মিটাতে অন্য জেলা থেকে ফল পরিবহন ব্যাবস্থার মাধ্যমে আনতে হবে না।
প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতীয় ফলজ গাছ রক্ষা: আমরা যদি সকলে দেশীয় মৌসুমী ফলজ বৃক্ষ রোপন সুরু করি তাহলে দেখা যাবেযে অনেক প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতীয় ফলজ বৃক্ষ রক্ষা পাবে বিলুপ্তির কবল থেকে।
উপরের উপকারিতা গুলো ছাড়াও আরও আনেক গুরুত্তপূর্ন উপকারিতা রয়েছে।
সর্বশেষে তাই আবার ও বলি:................
"আসুন আমরা সকলে একটি করে দেশীয় ফলজ বৃক্ষ রোপন করি ও অন্যকে অনুপ্রানিত করি এবং তার যত্ন করি।"
1) সরাসরি দেশীয় ফলের ভাল বীজ হতে জন্ম নেয়া চারা গাছ।
2)অনেক ঔষধী গাছ ও দেশীয় ফলজ গাছের আওতায় পরে।
3)কলম পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত চারা গাছ নয়।
4) হাইব্রিট পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত চারা গাছ নয়।
আসুন জেনে নেই দেশীয় বা মৌসুমী ফলজ বৃক্ষ ও দেশীয় ঔষধী বৃক্ষের সংক্ষেপে কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা:-
উপকারিতা:-
1) এ জাতীয় গাছ কলম বা হাইব্রিট গাছ হতে অনেক বড় হয় এ জাতীয় গাছ।
2) এ গাছ কলম গাছ হতে অনেক শক্ত হয়।
3) অনেক বছর বেচে থাকে কলম বা হাইব্রিট গাছ হতে।
4) আকারে বড় ও শক্ত হওয়ার ফলে কাল বৈশাখী ঝরকে মুকাবিলা করতে পারে বনজ বৃক্ষের মত যা কলম বা হাইব্রিট গাছ পারেনা।
5) কলম ও হাইব্রিট গাছ হতে আকারে বড় ও শক্ত হওয়ার ফলে এ জাতীয় গাছ হতে ভাল কাঠ বেশি পরিমানে পাওয়া যায়।
অপকারিতা:
1) এ জাতীয় গাছ কলম ও হাইব্রিট গাছ হতে তুলনামুলক বৃদ্ধি আস্তে আস্তে হয়।
2) এ জাতীয় গােছ কলম ও হাইব্রিট গাছ হতে তুলনামুলক 7-8 বছর বেশি সময় পর ফল আসে।
3) এ জাতীয় গােছ কলম ও হাইব্রিট গাছ হতে তুলনামুলক বেশি যায়গা নেয়।
4) এ জাতীয় গােছ কলম ও হাইব্রিট গাছের মত শহরের ছাদে রোপন করা সম্বভ নয়।
দেখা গেল যে দেশীয় ফলজ বৃক্ষের উপকারিতাই বেশি। তাই আমরা বৃক্ষ রোপন করলে প্রথমেই দেশীয় ফলজ বৃক্ষকেই প্রাধান্য দিব তার পর কলম ও হাইব্রিট জাতীয় গাছ, ঔষধী, বনজ বৃক্ষ।
বিস্তারিত আলোচনা:-
আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। 1971 সালে মুক্তি যোদ্ধে বিজয় এর পর থেকে এখন পর্জন্ত বাংলাদেশের আয়তন প্রায় একই রয়েছে কিন্তু জনসংখ্যা বিপুল হারে বৃদ্ধী পাচ্ছে।যেহেতু বাংলার জনসংখ্যা বিপুল হারে বৃদ্ধী পাওয়ার পাশাপাসি থাদ্য চাহিদাও বৃদ্ধী পাচ্ছে।আর এ বিসাল জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা পুরন হয় প্রধানত ফসলি জমি হতে উৎপন্য নানান ফসল বা শস্য যেমন ধান, গম,ডাল,শাক ও সব্জি ইত্যাদি। আর দিতীয় উৎস হচ্ছে নানান প্রকার ফল, তা বেসির ভাগই বিদেশী ফল ও কিছু পরিমানে দেশী মৌসুমী ফল এগুলোও আবার ফরমালিন যুক্ত।দেশীয় মৌসুমী ফল খাদ্যের চাহিদা পুরনে তেমন একটি ভূমিকা রাখতে পারছেনা নানান কারনে, যেমন,গাছ কাটা,ঝরে গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়া,বসত বাড়ি তৈরি করা ও বনজ গাছ ওস সুন্দর্য বর্ধক গাছ রোপনের উপর প্রায় সকলে বেশি মনোজুগি হওয়া ইত্যাদি। এতে বলা যায় যে হাতে গুনা কয়েকটি মৌসুমী ফলজ গাছ ছাড়া প্রায় সকল ফলজ গাছই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে।
একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে ফসলি জমি কমছে,ফলজ গাছ কাটা হচ্ছে ঝরে ভেঙ্গে যাচ্ছে কিন্তু তেমন একটা লাগানো হচ্ছে না। আর এ বিপুল জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মাথায় রেখে যে সকল হাইব্রিট ও কলম প্রকৃতির গাছ রোপন করা হচ্ছে তাও আবার সিমিত ও বাণিজ্যিক ভাবে।
আর যদিও কলম ও হাইব্রিট ফলজ গাছ কিছু পরিমানে ব্যাক্তি গত ভাবে তা কোন কারনে নষ্ট হয়ে গেলে সেই একই স্থানে আমরা আর একটি গাছ লাগাতে আমরা ভুলে যাই। হাইব্রিট ও কলম জাতীয় গাছ নষ্ট হয় বেশি দেশিয় ফলজ গাছের তোলনায়। হাইব্রিট ও কলম গাছ রোপনের অল্প সময় পর বেশি পরিমানে ফল দেয় কিন্তু তা আবার দেশিয় ফলজ গাছ এর তোলনায় কম বছর দেয়। হাইব্রিট ও কলম গাছ আকারে ছুট হয় ও কম বছর টিকে থাকে তাই নানান প্রাকৃতিক দূযোগে দেশিয় ফলজ গাছের মত উপকারে আসে না।
কলম ও হাইব্রিট গাছ রোপন করব যায়গা ভেদে। মানে হচ্ছে যে, যে সকল সল্প যায়গাতে আমরা দেশিয় ফলজ গাছ রোপন করতে পারবনা যায়গা সল্পতার কারনে সে সকল যায়গায় আমরা কলম ও হাইব্রিট ফলজ গাছ রোপন করব।
যেহেতু দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধী পাচ্ছে তাই এ বিসাল জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা ফসল বা রবি সশ্য হতে কমিয়ে দেশিয় মৌসুসী ফলের উপর বাড়ানো যায়।এতে করে দেশের বিসাল জনসংখার ভিটামিন,পুষ্টি ও খাদ্য চাহিদা পুরন হবে এবং এতে কার্বোহাইড্রেট গহন কমবে ও এন্টিআক্সিডেন্টের গ্রহন বাড়বে।
বনজ এ সুন্দর্য বর্ধক গাছ প্রধানত যে সকল উপকার করে তা হল যে,বনজ এ সুন্দর্য বর্ধক গাছ আকারে বড় ও শক্ত হওয়ায় এতে বেশি ও ভাল মানের কাঠ পাওয়া যায় এবং জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন পাওয়া যায় আর সাথে স্থানের সুন্দর্য বৃদ্ধী করে।উপরে উল্যেখিত উপকারিতা গুলি দেশীয় মৌসুমি অনেক ফলজ গাছ দিয়ে থাকে ও এগুলোর পাসাপাসি বাড়তি ফলও দিয়ে থাকে।
তাই বলি যে আসুন আমরা আজ থেকে 8/10 বছর একটি বনজ গাছ না রোপন করে একটি দেশীয় মৌসুমী ফলজ বৃক্ষ বা গাছ রোপন করি।
"আসুন আমরা সকলে একটি করে দেশীয় ফলজ বৃক্ষ রোপন করি ও অন্যকে অনুপ্রানিত করি এবং তার যত্ন করি।"
আসুন এবার জেনে নেই দেশীয় মৌসুমী ফলজ বৃক্ষ রোপনের উপকারিতা:-
খাদ্য চাহিদা: যদি আজ আমি, কাল আপনি,পোরসু অন্যকেহ এভাবে 8/10 বছর আমরা দেশীয় ফলজ বৃক্ষ বোপন করে যাই আমরা তাহলে 15-25 বছর পর দেশীয় বা মৌসুমি ফলের উৎপাদন অনেক পরিমানে বৃদ্ধি পাবে।ফলের উৎপাদন বৃদ্ধী পেলে খাদ্যের চাহিদাও মিটাবে বেশি পরিমানে।
জীব বৈচিত্র রক্ষা:যে সকল জীব, পসু, পাখি নানান ফল খেয়ে বেচে থাকত তারা আজ হুমকির মুখে ফলজ গাছ কমে আসার কারনে।বেশি পরিমানে ফলজ গাছ রোপনে সে সকল জীবের বেচে থাকা অনেক অংসে নিশ্চাত হবে।
প্রাকৃতীক দূর্যোগ হতে রক্ষা: দেশীয় ফলজ গাছের পরিমান বাংলাদেশে বেশি হয়, আবার তা যদি আকারে বড় ও শক্ত হয় তা হলে প্রাকৃতীক দূর্যোগ মুকাবিলাতে গুরুত্তপূর্ন ভূমিকা রাখবে।
দেশের অর্থনিতিতর অবদান: যদি দেশে প্রচুর পরিমানে ফল উৎপাদন হয় তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশে রপ্তানি করে প্রচুর অর্থ পাওয়া যাবে।ফল দেশের অর্থনিতিতে দুই ভাবে অবদান রাখতে পারে (1) সরকারি ভাবে (2) ব্যাক্তি গত ভাবে।
# সরকারি ভাবে: বাংলাদেশের নানান সরকারি প্রতিষ্টানের জায়গাতে যদি দেশিয় ফলজ গাছ রোপন করে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়, তাহলে উৎপাদিত ফল টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ সরকার আয় করতে পারবে। সাথে কম খরচে তালগাছ রাস্তার সাইড দিয়ে লাগালে 20 বছর পর এটা একট প্রদর্শনীয় স্থান হতে পারে এবং প্রচুর অর্থ অর্জন হবে। যা দেশ জাতী, রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য খুব প্রয়োজন।
# ব্যাক্তি গত ভাবে: ব্যাক্তি গত ভাবে যদি পতিত বা খালি যায়গাতে মৌসুমি ফলজ গাছ রোপন করে ফল উৎপাদর বাড়ানো যায় তাহলে ব্যাক্তি গত চাহিদা মিটিয়ে বাকি ফল গুলি বাজারে বিক্রি করে অর্থ আয় করা সম্বব।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধী: দেশের নানান মৌসুমী ফল গুলিতে নানান ধরনের ভিটামিন,খনিজ,মিনারেল এর পরিমান ফল ও মৌসম ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।অর্থাৎ এমন বলা যায় যে মানুষ ও পসু পাথির নানান মৌসমে যে সকল রোগ হতে পারে ঐ সকল উপাদানের অভাবে সে সকল উপাদানই সে সকল ফলে পরিমানমত থাকে। আমরা যদি মৌসুমি ফলের উৎপাদন বৃদ্ধী করতে পারি তাহলে মানুষ পরিমানমত ফলপাবে ও খাবে তাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধী পাবে।
ফরমালিন প্রয়োগ কমবে: বর্তমানে যেকোন দেশীয় ফলের উৎপাদন কম তাই ফলের মূল্য ও বেশি।তাই এ বেশি মূল্যের ফল কোন ব্যাবসায়ীই নষ্ট হতে দিতে চায়না তাই বেশিদিন সংরক্ষনকরে বিক্রি করার উদ্ধেশ্যে ফরমালিন ব্যাবহার করে।যদি ফল উৎপাদন বৃদ্ধী পায় এতে মূল্যও তুলনামুলক কমবে এবং ফরমালিন প্রয়োগ কমবে।
আঞ্চলিক ভাবে চাহিদা মিটবে: অঞ্চল বা জেলা ভিত্তিক ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তাতে ঐ জেলার বা অঞ্চলের চাহিদা সে অঞ্চলের ফল থেকেই মিটবে। মানে হচ্ছে যে, এক জেলার ফলের চাহিদা মিটাতে অন্য জেলা থেকে ফল পরিবহন ব্যাবস্থার মাধ্যমে আনতে হবে না।
প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতীয় ফলজ গাছ রক্ষা: আমরা যদি সকলে দেশীয় মৌসুমী ফলজ বৃক্ষ রোপন সুরু করি তাহলে দেখা যাবেযে অনেক প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতীয় ফলজ বৃক্ষ রক্ষা পাবে বিলুপ্তির কবল থেকে।
উপরের উপকারিতা গুলো ছাড়াও আরও আনেক গুরুত্তপূর্ন উপকারিতা রয়েছে।
সর্বশেষে তাই আবার ও বলি:................
"আসুন আমরা সকলে একটি করে দেশীয় ফলজ বৃক্ষ রোপন করি ও অন্যকে অনুপ্রানিত করি এবং তার যত্ন করি।"
বছরের বিভিন্ন সময় পত্র-প্রত্রিকার পাতা খুললেই দেখতে পাই,দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে এত জন মারা গেছেন।আসুন জানার চেস্টা করি কেন কিভাবে এর সৃস্টি হয়।বায়ূমন্ডলের উপরের অংশে নীচের তুলনায় তাপমাত্রা কম থাকে।এ কারনে অনেক সময় দেখা যায় যে,নীচের দিক থেকে উপরের দিকে মেঘের প্রবাহ হয়।এ ধরনের মেঘকে থান্ডার ক্লাউড ( Thunder Clouds) বলে।
বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার কৌশলঃ
বিশিষ্ট আবহাওয়াবিদ ড. সমরেন্দ্র কর্মকার জানান, বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচার কৌশল বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশের আগে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। সাধারণত মার্চ থেকে শুরু করে মে পর্যন্ত চলে এ ঝড়। আগেরদিনে গ্রামের মানুষ বলত বৈশাখ মাসের ১২ তারিখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৩ তারিখের মধ্যে বেশি কালবৈশাখী ঝড় হয়ে থাকে। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বেশি বজ্রপাত ঘটে এবং মানুষ বেশি মারা যায়। আবহাওয়া বিজ্ঞানে বলা হয়, গ্রীষ্মকালে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে বাতাস গরম হয়ে উপরে উঠতে থাকে। জলীয়বাষ্পও উপরে উঠে আর মেঘের ভিতর যত বেশি পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকবে তত বেশি উলম্ব মেঘের সৃষ্টি হবে। এ সময় ‘আপ ড্রাফ’ এবং ‘ডাউন ড্রাফ’ বাতাসে চলতে থাকে। একে বলা হয় বজ্রমেঘ। মেঘের উপরের অংশে পজেটিভ এবং নিচের ও মধ্য অংশে নেগেটিভ বিদ্যুত্ তৈরি হয়। পজেটিভ ও নেগেটিভ মেঘের ভিতরের বিদ্যুত্ আধারে দূরত্ব বেড়ে গেলে প্রকৃতির নিয়মে ভারসাম্য আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পজেটিভ ও নেগেটিভ মেঘ থেকে বিদ্যুত্ আদান-প্রদান শুরু হয়। পজেটিভ ও নেগেটিভ বিদ্যুত্ সঞ্চালন শুরু হলে বজ্রের সৃষ্টি হয়। আর তখনই বজ্রপাত হতে থাকে। পজেটিভ ও নেগেটিভ মেঘ একত্র হলে বিদ্যুত্ সঞ্চালনের ফলে বাতাসের তাপমাত্রা ২০ হাজার ডিগ্রি থেকে ৩০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। মেঘের ভিতর থাকা নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের সমপ্রসারণ ঘটে। গ্যাসের কম্পনের ফলে মেঘের গর্জন সৃষ্টি হয়। বজ্র সৃষ্টি হয়ে তা পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়াটিও বেশ জটিল বলে জানান ড. সমন্দ্রে কর্মকার। বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাও খুবই কঠিন। তবে সতর্ক হলে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যেতে পারে বলে তিনি জানান।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশের আগ মুহূর্তে ঘন কালো মেঘ দেখলেই সাবধান হতে হবে। গুরগুর মেঘের ডাক শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে। পাকা বাড়িতে আশ্রয় বেশি নিরাপদ। গাড়ির ভিতরও আশ্রয় নেয়া যেতে পারে। গাছের নিচে, টেলিফোনের খুঁটির পাশে বা বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের খাম্বার পাশে দাঁড়ানো মোটেই নিরাপদ নয়। ফাঁকা মাঠের মধ্যে অবস্থান সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক বলে তিনি জানান। পানির সংস্পর্শে মোটেই যাওয়া যাবে না। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী দুপুরের পরে হয়ে থাকে। এরপর মে’র শেষ পর্যন্ত সকালেও হয়ে থাকে। পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর আকাশে মেঘের গুরগুর গর্জন শুরু হলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে। পূর্ব, উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব আকাশে বিদ্যুত্ চমকালে বজ্রপাতে মৃত্যুর আশংকা কম থাকে। আর বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন না থামা পর্যন্ত নিরাপদে থাকা বাঞ্ছনীয় বলে জানান ড. কর্মকার। বজ্রপাতের আওয়াজ শোনার আগেই তা মাটি স্পর্শ করে। সোজাসুজি মানুষের গায়ে পড়লে মৃত্যু অবধারিত। বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ করাও বিপজ্জনক। শুকনা কাঠ দিয়ে ধাক্কা দিতে হবে। তিনি জানান, বজ্রপাতের সম্ভাবনা আবহাওয়া বিভাগের রাডারে ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘নাউকাস্টনিং’ পদ্ধতিতে মিডিয়াতে প্রচার করতে হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ স্থানে যেতে পারে। এতে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুহার কমানো সম্ভব। ঝড়ের পূর্বাভাস দেখলে কখনো খোলা মাঠ, পাহাড়ের চূড়া, সমুদ্রসৈকতে অবস্থান করবেন না। গাছের নিচে, বিদ্যুতের খুঁটি বা তারের নিচে, পুরনো-জীর্ণ বাড়ির নিচে অবস্থান করবেন না। চলন্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে গাড়িতে অবস্থান করুন। কোনো কর্ডযুক্ত ফোন ব্যবহার করবেন না। মাটির সঙ্গে সংযু্ক্ত ধাতব পদার্থে হাত বা হেলান দিয়ে দাঁড়াবেন না। বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত পানির ফোয়ারায় গোসল করবেন না। মরা কিংবা পচন ধরা গাছ ও খুঁটি কেটে ফেলুন। বাসা, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হলে বিদ্যুতে সব সুইচ বন্ধ রাখুন, দরজা-জানালা ভালোমতো বন্ধ রাখুন। এ সময় সর্তক করার আরেকটি কারণ হচ্ছে, এপ্রিল, মে, জুন_ এ তিন মাস আমাদের দেশে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা বেশি থাকে। সবাই সচেতন হই, নিরাপদ থাকি_ এটিই প্রত্যাশা।
বস্তুত প্রকৃতি, পরিবেশ, প্রকৃতির উপকরণ ইত্যাদি আল্লাহতায়ালার কুদরতের নিদর্শন। পৃথিবীতে কোনো কিছু অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি। সবকিছু মানুষ এবং অন্যান্য সৃষ্টির কল্যাণে সৃষ্টি করা হয়েছে। দুনিয়ায় সবকিছু পরিমিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের জন্য অপূর্ব নিয়ামত। এই পরিবেশ ধ্বংস করার কোনো ক্ষমতা মানুষকে দেওয়া হয়নি। মানুষ প্রকৃতির কোনো উপাদান বিনষ্ট করতে পারবে না। এর ধ্বংস বা অযৌক্তিক ব্যবহার করতে পারবে না। প্রকৃতিতে বিচ্যুতি ঘটানো অথবা পরিবর্তন আনা যাবে না।
প্রাকৃতিক পরিবেশ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত ইতিবাচক। ইসলামী জীবনদর্শনে প্রকৃতি, পরিবেশ, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের আচরণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার ব্যাপক আলোচনা প্রয়োজন। নিঃসন্দেহে সমকালীন প্রেক্ষাপটে নানা ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় ও দূষণ একটি সমস্যাও বটে। পরিবেশ সংরক্ষণে ইসলামের শিক্ষা ও মূল্যবোধই পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
গাছপালা, ফলমূল, নদীনালা, পাহাড়-পর্বত, পশুপাখি ও নানা ধরনের খাদ্যশস্য আল্লাহতায়ালার অন্যতম নিয়ামত। আরও লক্ষ্য করলে দেখা যায়, চন্দ্র-সূর্যের আবর্তন, বাতাস, বৃষ্টি, মেঘ-ছায়া রৌদ্র ও নদীর পানি ইত্যাদি নিদর্শন জ্ঞানীদের চিন্তার খোরাক জোগায়। দুনিয়ায় আল্লাহর এত নিয়ামত রয়েছে, যা হিসাব করে শেষ করা যাবে না। এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ গণনা করলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না।’ -সূরা ইবরাহিম : ৩৯
কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?’ -আর রাহমান : ১৩
মানবজাতি এ কারণে অনেক সৌভাগ্যবান যে, দুনিয়ার সব প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ ভোগ-ব্যবহার করার এখতিয়ার তাদের দেওয়া হয়েছে। আল্লাহতায়ালা মানবজাতি ও অন্যান্য সৃষ্টির কল্যাণে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। প্রকৃতির সব সম্পদ ও উপকরণ সঙ্গত ব্যবহারের অধিকার দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা কোনো কিছু অনর্থক সৃষ্টি করেননি। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং তাদের মধ্যে কোনো কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করিনি।’ -সূরা আদ দোখান : ৩৮
আল্লাহতায়ালা মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ, পশুপাখি, জীবজন্তু, গাছপালা, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, খাল-বিল সৃষ্টি করে প্রকৃতিতে এক শৃঙ্খলাময় ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। এই ব্যবস্থাপনার কোনো একটি উপকরণের কোনোরূপ ক্ষতি, বিনাশ, ধ্বংস, অপচয় হলে প্রকৃতির এই ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি দেখা দেয়; পরিবেশে সংকট সৃষ্টি হয়।
মনে রাখতে হবে- প্রকৃতিতে সব প্রাণী, জীব ও উদ্ভিদের বসবাস করার অধিকার রয়েছে এবং এ অধিকার আল্লাহ প্রদত্ত। পরিবেশের কোনোরূপ ক্ষতি করা হলে অর্থাৎ বন-জঙ্গল উজাড় করা, পাহাড় কাটা, নদী-নালা ভরাট করা ও বাঁধ দেওয়া ইত্যাদি জাতীয় কাজের দ্বারা প্রকৃতিতে বসবাসকারী মানুষসহ অন্যান্য জীব, প্রাণী ও উদ্ভিদের বসবাসের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করা হয়। সৃষ্টির স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়। ইসলামী শরিয়তে এসব কাজ কঠিন অন্যায় ও মারাত্মক অপরাধ বলে বিবেচিত। তাই এসব কাজ থেকে মানুষকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। না হলে পরিবেশ আমাদের সঙ্গে এমন বৈরী আচরণ করতেই থাকবে; আর এটাই স্বাভাবিক। অন্যভাবে বলা যায়, এটা আমাদের পাওনাও বটে, যা আমরা নিজ হাতে কামাই করেছি।
এ কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই, প্রকৃতির সব উপাদান ও সম্পদ, বন-জঙ্গল, নদীনালা ও খালবিল, মরুভূমি ও পাহাড়-পর্বত এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে- যা কিনা প্রকৃতিতে একটি চমৎকার ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। মানুষ ও অন্যান্য সৃষ্টির জন্য এরূপ সুষম ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা প্রয়োজনীয়। আল্লাহতায়ালা প্রতিটি জিনিসের গুণগত মান ও পরিমাণ এমনভাবে নির্ধারণ করেছেন, যা তাদের স্বাচ্ছন্দ্যময় বসবাসের জন্য উপযুক্ত। আল্লাহ প্রদত্ত এই সুন্দর ব্যবস্থাপনায় মানুষের লোভাতুর দৃষ্টিভঙ্গিই বর্তমান পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।
তাই সব ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, যুক্তিপূর্ণ ভোগ-ব্যবহার, বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নয়ন ও উৎপাদন আবশ্যক। কোনো অবস্থায় প্রাকৃতিক পরিবেশের ধ্বংস বা বিনাশ করা যাবে না, এমনকি অপচয়ও করা সমীচীন হবে না। পর্যাপ্ত এই প্রাকৃতিক পরিবেশের অনৈতিক ও বেআইনি ব্যবহার হ্রাস করতে হবে। ক্ষতিকর নানা উপাদান থেকে বায়ু ও পানি দূষণমুক্ত রাখতে হবে। কোনোভাবেই প্রকৃতিতে পরিবর্তন বা বিচ্যুতি ঘটানো যাবে না। প্রকৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদ আল্লাহর অপূর্ব নিয়ামত। এসব নিয়ামতের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তবেই এসব প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে সব ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করুন। আমীন।
বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার কৌশলঃ
বিশিষ্ট আবহাওয়াবিদ ড. সমরেন্দ্র কর্মকার জানান, বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচার কৌশল বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশের আগে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। সাধারণত মার্চ থেকে শুরু করে মে পর্যন্ত চলে এ ঝড়। আগেরদিনে গ্রামের মানুষ বলত বৈশাখ মাসের ১২ তারিখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৩ তারিখের মধ্যে বেশি কালবৈশাখী ঝড় হয়ে থাকে। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বেশি বজ্রপাত ঘটে এবং মানুষ বেশি মারা যায়। আবহাওয়া বিজ্ঞানে বলা হয়, গ্রীষ্মকালে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে বাতাস গরম হয়ে উপরে উঠতে থাকে। জলীয়বাষ্পও উপরে উঠে আর মেঘের ভিতর যত বেশি পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকবে তত বেশি উলম্ব মেঘের সৃষ্টি হবে। এ সময় ‘আপ ড্রাফ’ এবং ‘ডাউন ড্রাফ’ বাতাসে চলতে থাকে। একে বলা হয় বজ্রমেঘ। মেঘের উপরের অংশে পজেটিভ এবং নিচের ও মধ্য অংশে নেগেটিভ বিদ্যুত্ তৈরি হয়। পজেটিভ ও নেগেটিভ মেঘের ভিতরের বিদ্যুত্ আধারে দূরত্ব বেড়ে গেলে প্রকৃতির নিয়মে ভারসাম্য আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পজেটিভ ও নেগেটিভ মেঘ থেকে বিদ্যুত্ আদান-প্রদান শুরু হয়। পজেটিভ ও নেগেটিভ বিদ্যুত্ সঞ্চালন শুরু হলে বজ্রের সৃষ্টি হয়। আর তখনই বজ্রপাত হতে থাকে। পজেটিভ ও নেগেটিভ মেঘ একত্র হলে বিদ্যুত্ সঞ্চালনের ফলে বাতাসের তাপমাত্রা ২০ হাজার ডিগ্রি থেকে ৩০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। মেঘের ভিতর থাকা নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের সমপ্রসারণ ঘটে। গ্যাসের কম্পনের ফলে মেঘের গর্জন সৃষ্টি হয়। বজ্র সৃষ্টি হয়ে তা পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়াটিও বেশ জটিল বলে জানান ড. সমন্দ্রে কর্মকার। বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাও খুবই কঠিন। তবে সতর্ক হলে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যেতে পারে বলে তিনি জানান।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশের আগ মুহূর্তে ঘন কালো মেঘ দেখলেই সাবধান হতে হবে। গুরগুর মেঘের ডাক শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে। পাকা বাড়িতে আশ্রয় বেশি নিরাপদ। গাড়ির ভিতরও আশ্রয় নেয়া যেতে পারে। গাছের নিচে, টেলিফোনের খুঁটির পাশে বা বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের খাম্বার পাশে দাঁড়ানো মোটেই নিরাপদ নয়। ফাঁকা মাঠের মধ্যে অবস্থান সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক বলে তিনি জানান। পানির সংস্পর্শে মোটেই যাওয়া যাবে না। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী দুপুরের পরে হয়ে থাকে। এরপর মে’র শেষ পর্যন্ত সকালেও হয়ে থাকে। পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর আকাশে মেঘের গুরগুর গর্জন শুরু হলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে। পূর্ব, উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব আকাশে বিদ্যুত্ চমকালে বজ্রপাতে মৃত্যুর আশংকা কম থাকে। আর বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন না থামা পর্যন্ত নিরাপদে থাকা বাঞ্ছনীয় বলে জানান ড. কর্মকার। বজ্রপাতের আওয়াজ শোনার আগেই তা মাটি স্পর্শ করে। সোজাসুজি মানুষের গায়ে পড়লে মৃত্যু অবধারিত। বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ করাও বিপজ্জনক। শুকনা কাঠ দিয়ে ধাক্কা দিতে হবে। তিনি জানান, বজ্রপাতের সম্ভাবনা আবহাওয়া বিভাগের রাডারে ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘নাউকাস্টনিং’ পদ্ধতিতে মিডিয়াতে প্রচার করতে হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ স্থানে যেতে পারে। এতে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুহার কমানো সম্ভব। ঝড়ের পূর্বাভাস দেখলে কখনো খোলা মাঠ, পাহাড়ের চূড়া, সমুদ্রসৈকতে অবস্থান করবেন না। গাছের নিচে, বিদ্যুতের খুঁটি বা তারের নিচে, পুরনো-জীর্ণ বাড়ির নিচে অবস্থান করবেন না। চলন্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে গাড়িতে অবস্থান করুন। কোনো কর্ডযুক্ত ফোন ব্যবহার করবেন না। মাটির সঙ্গে সংযু্ক্ত ধাতব পদার্থে হাত বা হেলান দিয়ে দাঁড়াবেন না। বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত পানির ফোয়ারায় গোসল করবেন না। মরা কিংবা পচন ধরা গাছ ও খুঁটি কেটে ফেলুন। বাসা, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হলে বিদ্যুতে সব সুইচ বন্ধ রাখুন, দরজা-জানালা ভালোমতো বন্ধ রাখুন। এ সময় সর্তক করার আরেকটি কারণ হচ্ছে, এপ্রিল, মে, জুন_ এ তিন মাস আমাদের দেশে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা বেশি থাকে। সবাই সচেতন হই, নিরাপদ থাকি_ এটিই প্রত্যাশা।
বজ্রপাত, পরিবেশ বিপর্যয় ও ইসলাম
বজ্রপাত নিয়ে নানা ধরনের ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। আমরা সেদিকে যেতে চাই না। আমরা মনে করি এটা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটা যে কোনো সময় ঘটতে পারে, এই অমোঘ সত্যবাণী অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে, আবহওয়াবিদরা বলেন, বেশি গাছপালা থাকলে বজ্র গাছের মধ্যে পড়লে জানমালে ক্ষতি কম হতো। বিষয়টি যে পরিবেশ বিপর্যয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা পরিবেশের প্রতি যত্নবান হলে নিশ্চয়ই পরিবেশ আমাদের সঙ্গে এমন বিরূপ আচরণ করত না। আশা করি সমূহ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা পরিবেশের প্রতি যত্নবান হবো।বস্তুত প্রকৃতি, পরিবেশ, প্রকৃতির উপকরণ ইত্যাদি আল্লাহতায়ালার কুদরতের নিদর্শন। পৃথিবীতে কোনো কিছু অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি। সবকিছু মানুষ এবং অন্যান্য সৃষ্টির কল্যাণে সৃষ্টি করা হয়েছে। দুনিয়ায় সবকিছু পরিমিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের জন্য অপূর্ব নিয়ামত। এই পরিবেশ ধ্বংস করার কোনো ক্ষমতা মানুষকে দেওয়া হয়নি। মানুষ প্রকৃতির কোনো উপাদান বিনষ্ট করতে পারবে না। এর ধ্বংস বা অযৌক্তিক ব্যবহার করতে পারবে না। প্রকৃতিতে বিচ্যুতি ঘটানো অথবা পরিবর্তন আনা যাবে না।
প্রাকৃতিক পরিবেশ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত ইতিবাচক। ইসলামী জীবনদর্শনে প্রকৃতি, পরিবেশ, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের আচরণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার ব্যাপক আলোচনা প্রয়োজন। নিঃসন্দেহে সমকালীন প্রেক্ষাপটে নানা ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় ও দূষণ একটি সমস্যাও বটে। পরিবেশ সংরক্ষণে ইসলামের শিক্ষা ও মূল্যবোধই পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
গাছপালা, ফলমূল, নদীনালা, পাহাড়-পর্বত, পশুপাখি ও নানা ধরনের খাদ্যশস্য আল্লাহতায়ালার অন্যতম নিয়ামত। আরও লক্ষ্য করলে দেখা যায়, চন্দ্র-সূর্যের আবর্তন, বাতাস, বৃষ্টি, মেঘ-ছায়া রৌদ্র ও নদীর পানি ইত্যাদি নিদর্শন জ্ঞানীদের চিন্তার খোরাক জোগায়। দুনিয়ায় আল্লাহর এত নিয়ামত রয়েছে, যা হিসাব করে শেষ করা যাবে না। এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ গণনা করলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না।’ -সূরা ইবরাহিম : ৩৯
কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?’ -আর রাহমান : ১৩
মানবজাতি এ কারণে অনেক সৌভাগ্যবান যে, দুনিয়ার সব প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ ভোগ-ব্যবহার করার এখতিয়ার তাদের দেওয়া হয়েছে। আল্লাহতায়ালা মানবজাতি ও অন্যান্য সৃষ্টির কল্যাণে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। প্রকৃতির সব সম্পদ ও উপকরণ সঙ্গত ব্যবহারের অধিকার দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা কোনো কিছু অনর্থক সৃষ্টি করেননি। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং তাদের মধ্যে কোনো কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করিনি।’ -সূরা আদ দোখান : ৩৮
আল্লাহতায়ালা মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ, পশুপাখি, জীবজন্তু, গাছপালা, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, খাল-বিল সৃষ্টি করে প্রকৃতিতে এক শৃঙ্খলাময় ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। এই ব্যবস্থাপনার কোনো একটি উপকরণের কোনোরূপ ক্ষতি, বিনাশ, ধ্বংস, অপচয় হলে প্রকৃতির এই ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি দেখা দেয়; পরিবেশে সংকট সৃষ্টি হয়।
মনে রাখতে হবে- প্রকৃতিতে সব প্রাণী, জীব ও উদ্ভিদের বসবাস করার অধিকার রয়েছে এবং এ অধিকার আল্লাহ প্রদত্ত। পরিবেশের কোনোরূপ ক্ষতি করা হলে অর্থাৎ বন-জঙ্গল উজাড় করা, পাহাড় কাটা, নদী-নালা ভরাট করা ও বাঁধ দেওয়া ইত্যাদি জাতীয় কাজের দ্বারা প্রকৃতিতে বসবাসকারী মানুষসহ অন্যান্য জীব, প্রাণী ও উদ্ভিদের বসবাসের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করা হয়। সৃষ্টির স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়। ইসলামী শরিয়তে এসব কাজ কঠিন অন্যায় ও মারাত্মক অপরাধ বলে বিবেচিত। তাই এসব কাজ থেকে মানুষকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। না হলে পরিবেশ আমাদের সঙ্গে এমন বৈরী আচরণ করতেই থাকবে; আর এটাই স্বাভাবিক। অন্যভাবে বলা যায়, এটা আমাদের পাওনাও বটে, যা আমরা নিজ হাতে কামাই করেছি।
এ কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই, প্রকৃতির সব উপাদান ও সম্পদ, বন-জঙ্গল, নদীনালা ও খালবিল, মরুভূমি ও পাহাড়-পর্বত এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে- যা কিনা প্রকৃতিতে একটি চমৎকার ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। মানুষ ও অন্যান্য সৃষ্টির জন্য এরূপ সুষম ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা প্রয়োজনীয়। আল্লাহতায়ালা প্রতিটি জিনিসের গুণগত মান ও পরিমাণ এমনভাবে নির্ধারণ করেছেন, যা তাদের স্বাচ্ছন্দ্যময় বসবাসের জন্য উপযুক্ত। আল্লাহ প্রদত্ত এই সুন্দর ব্যবস্থাপনায় মানুষের লোভাতুর দৃষ্টিভঙ্গিই বর্তমান পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।
তাই সব ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, যুক্তিপূর্ণ ভোগ-ব্যবহার, বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নয়ন ও উৎপাদন আবশ্যক। কোনো অবস্থায় প্রাকৃতিক পরিবেশের ধ্বংস বা বিনাশ করা যাবে না, এমনকি অপচয়ও করা সমীচীন হবে না। পর্যাপ্ত এই প্রাকৃতিক পরিবেশের অনৈতিক ও বেআইনি ব্যবহার হ্রাস করতে হবে। ক্ষতিকর নানা উপাদান থেকে বায়ু ও পানি দূষণমুক্ত রাখতে হবে। কোনোভাবেই প্রকৃতিতে পরিবর্তন বা বিচ্যুতি ঘটানো যাবে না। প্রকৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদ আল্লাহর অপূর্ব নিয়ামত। এসব নিয়ামতের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তবেই এসব প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে সব ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করুন। আমীন।
বজ্রপাত ঠেকাবে তালগাছ । যুগন্তরের নিউজ
বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমাতে সম্প্রতি সারা দেশে ১০ লাখ তালগাছ রোপণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েক লাখ তালগাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় তা রোপণ করা হবে।
জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া যুগান্তরকে বলেন, দেশে বজ্রপাত দিন দিন বাড়ছে। গত বছর দেশে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। এর মধ্যে একদিনেই মারা যায় ৮২ জন। বিষয়টি তখন সংবাদমাধ্যমসহ সর্বত্র ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। পরে বজ্রপাতকে আমরা দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে এর প্রতিরোধে করণীয় উপায় খুঁজতে থাকি। তালগাছ বজ্রপাত ঠেকাতে পারে বিশেষজ্ঞদের এমন মতামত পাওয়ার পর রাস্তার দু’ধারে তালগাছ লাগাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের কাছে দেশে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাবে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেড় হাজারের মতো মানুষ মারা গেছেন বজ্রপাতে। দুর্যোগ ফোরামের গবেষণামতে, ২০১১ সালে ১৭৯ জন মারা যান, আর ২০১৫ সালে ২৭৪ জন। ২০১৬ সালে প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষ মারা যান বজ পাতে। এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে সরকারের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত। গত বছর দেশে বজ পাতে মৃত্যুর শিকার মানুষের বেশিরভাগই হাওর অঞ্চলের ৯ জেলার। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ছিল সুনামগঞ্জে। বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চল ছাড়াও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ফসলের মাঠে বা ফাঁকা জায়গায়। পাশাপাশি বজ্রপাতে প্রচুর গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে, আগে বজ্রপাত হলে তা তালগাছ বা অন্য কোনো বড় গাছের ওপর পড়ত। বজ্রপাত এক ধরনের বিদ্যুৎ রশ্মি। ওই রশ্মি গাছ হয়ে মাটিতে চলে যেত। এতে মানুষের তেমন ক্ষতি হতো না। কিন্তু গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও এখন আর তালগাছ দেখা যায় না। একইভাবে বড় আকারের গাছও এখন তেমন নেই। দেশব্যাপী বনায়ন হলেও তা আকারের দিক থেকে বড় হয়ে ওঠেনি। মূলত এ কারণে বজ্রপাতে অনাকাঙিক্ষষত মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণমানুষের এ ধারণার সত্যতা উঠে এসেছে বিশেষজ্ঞদের গবেষণাতেও। সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বজ্রপাত ঠেকানোর উপায় খুঁজতে থাকেন। তারা বলেন, নিজের মাথায় বজ পাতের আঘাত নিয়ে যেসব বড় গাছ মানুষকে রক্ষা করে তার অন্যতম তালগাছ। বজ পাত যেহেতু সাধারণত উঁচু কোনো কিছুতে আঘাত করে, সেজন্য বজ পাত ঠেকাতে উঁচু গাছ হিসেবে তালগাছকে বেছে নেয়া যেতে পারে। তাদের ভাষায়, বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকানোর জন্য এটাই সবচেয়ে কার্যকর স্থানীয় প্রযুক্তি। থাইল্যান্ডে তালগাছ রোপণের পর বজ্রপাতে মৃত্যু কমেছে এমন তথ্য যাচাই করে বাংলাদেশেও তালগাছ রোপণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি নারিকেল গাছ লাগানোর বিষয়টিও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এছাড়া হাওর অঞ্চলে টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে উঁচু গাছ হিসেবে তালগাছকে বেছে নেয়া হয়েছে। থাইল্যান্ডে তালগাছ লাগিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞের পরামর্শও বাংলাদেশ নিয়েছে। টাওয়ার নির্মাণ প্রসঙ্গে শাহ কামাল বলেন, ভিয়েতনামে টাওয়ার দিয়ে মৃত্যুর হার কমানো হয়েছে। হাওর এলাকায় তালগাছের পাশাপাশি টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ভিয়েতনামের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে বজ পাতে মানুষের মৃত্যু কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে।
তালগাছ লাগানোর নির্দেশনা সংবলিত চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হাসান শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘টিআর-কাবিটা কর্মসূচির আওতায় রাস্তার দু’পাশে তালগাছ লাগানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা তালগাছের চারা সরবরাহ করতে উপজেলা কৃষি অফিসগুলোকে বলেছি।’
বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমাতে সম্প্রতি সারা দেশে ১০ লাখ তালগাছ রোপণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েক লাখ তালগাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় তা রোপণ করা হবে।
গত কয়েক বছর ধরে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। এ নিয়ে সারা দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া যুগান্তরকে বলেন, দেশে বজ্রপাত দিন দিন বাড়ছে। গত বছর দেশে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। এর মধ্যে একদিনেই মারা যায় ৮২ জন। বিষয়টি তখন সংবাদমাধ্যমসহ সর্বত্র ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। পরে বজ্রপাতকে আমরা দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে এর প্রতিরোধে করণীয় উপায় খুঁজতে থাকি। তালগাছ বজ্রপাত ঠেকাতে পারে বিশেষজ্ঞদের এমন মতামত পাওয়ার পর রাস্তার দু’ধারে তালগাছ লাগাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের কাছে দেশে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাবে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেড় হাজারের মতো মানুষ মারা গেছেন বজ্রপাতে। দুর্যোগ ফোরামের গবেষণামতে, ২০১১ সালে ১৭৯ জন মারা যান, আর ২০১৫ সালে ২৭৪ জন। ২০১৬ সালে প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষ মারা যান বজ পাতে। এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে সরকারের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত। গত বছর দেশে বজ পাতে মৃত্যুর শিকার মানুষের বেশিরভাগই হাওর অঞ্চলের ৯ জেলার। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ছিল সুনামগঞ্জে। বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চল ছাড়াও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ফসলের মাঠে বা ফাঁকা জায়গায়। পাশাপাশি বজ্রপাতে প্রচুর গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে, আগে বজ্রপাত হলে তা তালগাছ বা অন্য কোনো বড় গাছের ওপর পড়ত। বজ্রপাত এক ধরনের বিদ্যুৎ রশ্মি। ওই রশ্মি গাছ হয়ে মাটিতে চলে যেত। এতে মানুষের তেমন ক্ষতি হতো না। কিন্তু গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও এখন আর তালগাছ দেখা যায় না। একইভাবে বড় আকারের গাছও এখন তেমন নেই। দেশব্যাপী বনায়ন হলেও তা আকারের দিক থেকে বড় হয়ে ওঠেনি। মূলত এ কারণে বজ্রপাতে অনাকাঙিক্ষষত মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণমানুষের এ ধারণার সত্যতা উঠে এসেছে বিশেষজ্ঞদের গবেষণাতেও। সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বজ্রপাত ঠেকানোর উপায় খুঁজতে থাকেন। তারা বলেন, নিজের মাথায় বজ পাতের আঘাত নিয়ে যেসব বড় গাছ মানুষকে রক্ষা করে তার অন্যতম তালগাছ। বজ পাত যেহেতু সাধারণত উঁচু কোনো কিছুতে আঘাত করে, সেজন্য বজ পাত ঠেকাতে উঁচু গাছ হিসেবে তালগাছকে বেছে নেয়া যেতে পারে। তাদের ভাষায়, বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকানোর জন্য এটাই সবচেয়ে কার্যকর স্থানীয় প্রযুক্তি। থাইল্যান্ডে তালগাছ রোপণের পর বজ্রপাতে মৃত্যু কমেছে এমন তথ্য যাচাই করে বাংলাদেশেও তালগাছ রোপণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি নারিকেল গাছ লাগানোর বিষয়টিও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এছাড়া হাওর অঞ্চলে টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে উঁচু গাছ হিসেবে তালগাছকে বেছে নেয়া হয়েছে। থাইল্যান্ডে তালগাছ লাগিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞের পরামর্শও বাংলাদেশ নিয়েছে। টাওয়ার নির্মাণ প্রসঙ্গে শাহ কামাল বলেন, ভিয়েতনামে টাওয়ার দিয়ে মৃত্যুর হার কমানো হয়েছে। হাওর এলাকায় তালগাছের পাশাপাশি টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ভিয়েতনামের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে বজ পাতে মানুষের মৃত্যু কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে।
তালগাছ লাগানোর নির্দেশনা সংবলিত চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হাসান শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘টিআর-কাবিটা কর্মসূচির আওতায় রাস্তার দু’পাশে তালগাছ লাগানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা তালগাছের চারা সরবরাহ করতে উপজেলা কৃষি অফিসগুলোকে বলেছি।’
“পৃথিবী দীর্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” "In order to develop the world's longest row of palm"
“পৃথিবী দীর্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” "In order to develop the world's longest row of palm"
“পৃথিবী দির্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” এক যুবকের স্বপ্ন হাজার মানুষের কৌতুহল জেগেছে আজি বেজেছে মাতাল। যেখানে বাধা সেখানে সফলতা, যেখানে স্বপ্ন সেখানে পূর্ণতা, কেন বলতে হল এই কথা? শুরু থেকে অনেক বাধা অতিক্রম করে আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরে অনেক কথাই মনে পড়ে যায়। তবু কোন দিন হতাশাগ্রস্থ হয়নি। বুকভরা আশা আর স্বপ্ন সারাক্ষণ বসন্তের জানালায় কড়া নেড়েছে। শুরুতে যারা আমার সাথে ছিল তাদের অনেকেই আজ নেই। হয়তো তারা এখন মনে মনে আফসোস করে কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারে না। তাই তাদের জন্য বলি হতাশা হবেন না । কারণ আমি এটা পছন্দ করিনা। আপনাদের জন্য আমরা সর্বক্ষনিক মমতাময়ী। আপনারা আসুন আমরা সবাই মিলে এই মহৎ কাজ করি। আর নতুনরা যে কোন সময় যে কোন দিন আমাদের সাথে সন্দর্য্পূর্ণ এই কাজে অংশগ্রহন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের এক জন। আমরা এখানে একটি হাদিসের কথা দিয়ে এটুকু বলতে চাই আমাদের কাজ নিঃসন্দেহ ভাল কাজ। “মুসলিম যে গাছ লাগায় তা থেকে কোন মানুষ, কোন জন্তুএবং কোন পাখী যা কিছু খায়, তবে তা তার জন্য সাদকাহ হয়ে যায়।” (সহীহুল বুখারী ২৩২০,মুসলিম১৫৫২) শুরু থেকে আমার একার প্রচেষ্টার মধ্যে যারা প্রথম ছিল তাদের নাম না বললেই নয় এই লিংকে জেনে নিন-http://niemreza.blogspot.com/2015/09/blogpost_13.html
আমাদের এই এক দল যুবকের আপ্রাণ প্রচেষ্টা 20 কিলোমিটার রাস্তার পাশে তালের চারা রোপন করা শেষ হয়েছে। এখন আমারা আগামী 10 সেপ্টেম্বর 2016 সালে যশোর পুলেরহাট থেকে রাজগঞ্জ হয়ে পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা। যে রোড নতুন সংস্কার হয়েছে এই রাস্তা আনুমানিক 70 থেকে 75 কিলোমিটার রাস্তা আমরা তাল গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। যে হেতু আমরা পৃথিবীর দির্ঘতম তালের সারি তৈরী করতে চাচ্ছি, তাই এই 75 কিঃ ও আমাদের আগের 20 কিঃ মোট 95 কিঃ মিঃ রাস্তা সমাপ্ত করতে পারলে হয়তো আমরা একদিন সফল হতে পারব। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিবে। আমরা চাই আমাদের স্বপ্নের সাথে আপনিও স্বপ্ন দেখুন এবং আমাদের সাথে কাজ করুন। যদি আপনি বাংলাদেশের অন্য কোন প্রান্তে থেকে থাকেন তবে কি করবেন? আমাদের 01818 655090 নং যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার মাধ্যমে সেখান থেকেও কাজ শুরু করব। কারণ আমাদের “পৃথিবী দির্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” শুধু এটাই লক্ষ নয়! “একটি বৃক্ষ হতে পারে আপনার জীবনের রক্ষা কবচ” শুধু কি আমরা তাল গাছ লাগাব? না আমরা ইতি মধ্যে 200 বাসা বাড়িতে ফলজ বৃক্ষ দিয়ছি। অতএব আমরা সকল গাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার্থে আমাদের এই সৎ সাহসের কাজ কিরছি। এটা সম্পূর্ণ সমাজ সেবার ও পর সেবার উদ্যেষে, নিজের জন্য নয়। আমরা সকলে জানি গাছ আমাদের পরম বন্ধু , কারণ যাদের ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই তারাও এই বৃক্ষ থেকে নিঃশ্বাস নিয়ে বেচে থাকে। আপনার একটি ভাল কাজ আপনার জীবন সার্থক করে দিতে পারে। ভাল কাজ করার মজাটাই আলাদা। সিরাজগঞ্জ আজগর ভাই তার কথা না বললেই নয়। তার সাথে কথা বলে আমার জীবনের একটা বড় ভুল ভেঙ্গে গেল। তার কাছে প্রশ্ন করলাম ভাই আপনি যে গাছ লাগান অনেকেই তো ডাল, পাতা, এমন কি গাছও কেটে নিয়ে যায় । তিনি উত্তর দিলেন এগুলো করে তারা নিশ্চয় উপকৃত হয় আর আমার উদ্যেশ্য তারা লাভবান হউক।এটাই আমার আনন্দ। সে দিন বুঝলাম মানুষ কত মহৎ হতে পারে । তাই আমাদের এই প্রচেষ্টার ফল হয়তো লক্ষ্ মানুষ ভোগ করবে আর সেটাই আমার আপনার সার্থকতা। আপনাদের আবারও আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করি। ভাল থাকবেন এই কামনাই করি।
যা কেউ কখনো ভাবেনি সে ই ভাবনা নিয়ে ্আমাদের পথ চলা, ভাবতেই মনে পড়ে যাই কাজ শুরুর ইতি কথা।
“পৃথিবী দীর্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” "In order to develop the world's longest row of palm"
“পৃথিবী দির্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” এক যুবকের স্বপ্ন হাজার মানুষের কৌতুহল জেগেছে আজি বেজেছে মাতাল। যেখানে বাধা সেখানে সফলতা, যেখানে স্বপ্ন সেখানে পূর্ণতা, কেন বলতে হল এই কথা? শুরু থেকে অনেক বাধা অতিক্রম করে আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরে অনেক কথাই মনে পড়ে যায়। তবু কোন দিন হতাশাগ্রস্থ হয়নি। বুকভরা আশা আর স্বপ্ন সারাক্ষণ বসন্তের জানালায় কড়া নেড়েছে। শুরুতে যারা আমার সাথে ছিল তাদের অনেকেই আজ নেই। হয়তো তারা এখন মনে মনে আফসোস করে কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারে না। তাই তাদের জন্য বলি হতাশা হবেন না । কারণ আমি এটা পছন্দ করিনা। আপনাদের জন্য আমরা সর্বক্ষনিক মমতাময়ী। আপনারা আসুন আমরা সবাই মিলে এই মহৎ কাজ করি। আর নতুনরা যে কোন সময় যে কোন দিন আমাদের সাথে সন্দর্য্পূর্ণ এই কাজে অংশগ্রহন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের এক জন। আমরা এখানে একটি হাদিসের কথা দিয়ে এটুকু বলতে চাই আমাদের কাজ নিঃসন্দেহ ভাল কাজ। “মুসলিম যেগাছ লাগায় তা থেকে কোন মানুষ, কোন জন্তু এবং কোন পাখী যা কিছু খায়, তবে তাতার জন্য সাদকাহ হয়ে যায়।” (সহীহুল বুখারী ২৩২০,মুসলিম ১৫৫২) শুরু থেকে আমার একার প্রচেষ্টার মধ্যে যারা প্রথম ছিল তাদের নাম না বললেই নয় এই লিংকে জেনে নিন-http://niemreza.blogspot.com/2015/0...
আমাদের এই এক দল যুবকের আপ্রাণ প্রচেষ্টা 20 কিলোমিটার রাস্তার পাশে তালের চারা রোপন করা শেষ হয়েছে। এখন আমারা আগামী 10 সেপ্টেম্বর 2016 সালে যশোর পুলেরহাট থেকে রাজগঞ্জ হয়ে পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা। যে রোড নতুন সংস্কার হয়েছে এই রাস্তা আনুমানিক 70 থেকে 75 কিলোমিটার রাস্তা আমরা তাল গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। যে হেতু আমরা পৃথিবীর দির্ঘতম তালের সারি তৈরী করতে চাচ্ছি, তাই এই 75 কিঃ ও আমাদের আগের 20 কিঃ মোট 95 কিঃ মিঃ রাস্তা সমাপ্ত করতে পারলে হয়তো আমরা একদিন সফল হতে পারব। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিবে। আমরা চাই আমাদের স্বপ্নের সাথে আপনিও স্বপ্ন দেখুন এবং আমাদের সাথে কাজ করুন। যদি আপনি বাংলাদেশের অন্য কোন প্রান্তে থেকে থাকেন তবে কি করবেন? আমাদের 01818 655090 নং যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার মাধ্যমে সেখান থেকেও কাজ শুরু করব। কারণ আমাদের “পৃথিবী দির্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” শুধু এটাই লক্ষ নয়! “একটি বৃক্ষ হতে পারে আপনার জীবনের রক্ষা কবচ” শুধু কি আমরা তাল গাছ লাগাব? না আমরা ইতি মধ্যে 200 বাসা বাড়িতে ফলজ বৃক্ষ দিয়ছি। অতএব আমরা সকল গাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার্থে আমাদের এই সৎ সাহসের কাজ কিরছি। এটা সম্পূর্ণ সমাজ সেবার ও পর সেবার উদ্যেষে, নিজের জন্য নয়। আমরা সকলে জানি গাছ আমাদের পরম বন্ধু , কারণ যাদের ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই তারাও এই বৃক্ষ থেকে নিঃশ্বাস নিয়ে বেচে থাকে। আপনার একটি ভাল কাজ আপনার জীবন সার্থক করে দিতে পারে। ভাল কাজ করার মজাটাই আলাদা। সিরাজগঞ্জ আজগর ভাই তার কথা না বললেই নয়। তার সাথে কথা বলে আমার জীবনের একটা বড় ভুল ভেঙ্গে গেল। তার কাছে প্রশ্ন করলাম ভাই আপনি যে গাছ লাগান অনেকেই তো ডাল, পাতা, এমন কি গাছও কেটে নিয়ে যায় । তিনি উত্তর দিলেন এগুলো করে তারা নিশ্চয় উপকৃত হয় আর আমার উদ্যেশ্য তারা লাভবান হউক।এটাই আমার আনন্দ। সে দিন বুঝলাম মানুষ কত মহৎ হতে পারে । তাই আমাদের এই প্রচেষ্টার ফল হয়তো লক্ষ্ মানুষ ভোগ করবে আর সেটাই আমার আপনার সার্থকতা। আপনাদের আবারও আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করি। ভাল থাকবেন এই কামনাই করি।
“পৃথিবী দীর্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” "In order to develop the world's longest row of palm"
“পৃথিবী দির্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” এক যুবকের স্বপ্ন হাজার মানুষের কৌতুহল জেগেছে আজি বেজেছে মাতাল। যেখানে বাধা সেখানে সফলতা, যেখানে স্বপ্ন সেখানে পূর্ণতা, কেন বলতে হল এই কথা? শুরু থেকে অনেক বাধা অতিক্রম করে আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরে অনেক কথাই মনে পড়ে যায়। তবু কোন দিন হতাশাগ্রস্থ হয়নি। বুকভরা আশা আর স্বপ্ন সারাক্ষণ বসন্তের জানালায় কড়া নেড়েছে। শুরুতে যারা আমার সাথে ছিল তাদের অনেকেই আজ নেই। হয়তো তারা এখন মনে মনে আফসোস করে কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারে না। তাই তাদের জন্য বলি হতাশা হবেন না । কারণ আমি এটা পছন্দ করিনা। আপনাদের জন্য আমরা সর্বক্ষনিক মমতাময়ী। আপনারা আসুন আমরা সবাই মিলে এই মহৎ কাজ করি। আর নতুনরা যে কোন সময় যে কোন দিন আমাদের সাথে সন্দর্য্পূর্ণ এই কাজে অংশগ্রহন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের এক জন। আমরা এখানে একটি হাদিসের কথা দিয়ে এটুকু বলতে চাই আমাদের কাজ নিঃসন্দেহ ভাল কাজ। “মুসলিম যেগাছ লাগায় তা থেকে কোন মানুষ, কোন জন্তু এবং কোন পাখী যা কিছু খায়, তবে তাতার জন্য সাদকাহ হয়ে যায়।” (সহীহুল বুখারী ২৩২০,মুসলিম ১৫৫২) শুরু থেকে আমার একার প্রচেষ্টার মধ্যে যারা প্রথম ছিল তাদের নাম না বললেই নয় এই লিংকে জেনে নিন-http://niemreza.blogspot.com/2015/0...
আমাদের এই এক দল যুবকের আপ্রাণ প্রচেষ্টা 20 কিলোমিটার রাস্তার পাশে তালের চারা রোপন করা শেষ হয়েছে। এখন আমারা আগামী 10 সেপ্টেম্বর 2016 সালে যশোর পুলেরহাট থেকে রাজগঞ্জ হয়ে পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা। যে রোড নতুন সংস্কার হয়েছে এই রাস্তা আনুমানিক 70 থেকে 75 কিলোমিটার রাস্তা আমরা তাল গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। যে হেতু আমরা পৃথিবীর দির্ঘতম তালের সারি তৈরী করতে চাচ্ছি, তাই এই 75 কিঃ ও আমাদের আগের 20 কিঃ মোট 95 কিঃ মিঃ রাস্তা সমাপ্ত করতে পারলে হয়তো আমরা একদিন সফল হতে পারব। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিবে। আমরা চাই আমাদের স্বপ্নের সাথে আপনিও স্বপ্ন দেখুন এবং আমাদের সাথে কাজ করুন। যদি আপনি বাংলাদেশের অন্য কোন প্রান্তে থেকে থাকেন তবে কি করবেন? আমাদের 01818 655090 নং যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার মাধ্যমে সেখান থেকেও কাজ শুরু করব। কারণ আমাদের “পৃথিবী দির্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” শুধু এটাই লক্ষ নয়! “একটি বৃক্ষ হতে পারে আপনার জীবনের রক্ষা কবচ” শুধু কি আমরা তাল গাছ লাগাব? না আমরা ইতি মধ্যে 200 বাসা বাড়িতে ফলজ বৃক্ষ দিয়ছি। অতএব আমরা সকল গাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার্থে আমাদের এই সৎ সাহসের কাজ কিরছি। এটা সম্পূর্ণ সমাজ সেবার ও পর সেবার উদ্যেষে, নিজের জন্য নয়। আমরা সকলে জানি গাছ আমাদের পরম বন্ধু , কারণ যাদের ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই তারাও এই বৃক্ষ থেকে নিঃশ্বাস নিয়ে বেচে থাকে। আপনার একটি ভাল কাজ আপনার জীবন সার্থক করে দিতে পারে। ভাল কাজ করার মজাটাই আলাদা। সিরাজগঞ্জ আজগর ভাই তার কথা না বললেই নয়। তার সাথে কথা বলে আমার জীবনের একটা বড় ভুল ভেঙ্গে গেল। তার কাছে প্রশ্ন করলাম ভাই আপনি যে গাছ লাগান অনেকেই তো ডাল, পাতা, এমন কি গাছও কেটে নিয়ে যায় । তিনি উত্তর দিলেন এগুলো করে তারা নিশ্চয় উপকৃত হয় আর আমার উদ্যেশ্য তারা লাভবান হউক।এটাই আমার আনন্দ। সে দিন বুঝলাম মানুষ কত মহৎ হতে পারে । তাই আমাদের এই প্রচেষ্টার ফল হয়তো লক্ষ্ মানুষ ভোগ করবে আর সেটাই আমার আপনার সার্থকতা। আপনাদের আবারও আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করি। ভাল থাকবেন এই কামনাই করি।
“পৃথিবীর দির্ঘতম তালগাছের সারি তৈরীর লক্ষে”
নাগরিক কর্তব্য এবং পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার্থে (বনায়ন বৃদ্ধি, রাস্তার মাটি ক্ষয়রোধ, শিল্প কারিগর বাবুই পাখির বাসস্থান তৈরী, গরমের পরম বন্ধু তাল পাতার হাতপাখা, যশোরের ঐতিহ্য খেজুরের গুড়, “পৃথিবীর দির্ঘতম তালগাছের প্রাকৃতিক সৌন্দয্য” দেখানোর জন্য রাস্তার দু’পার্শ্বে (70 কিঃ মিঃ) তালগাছ লাগানো শেষ করে আমরা এ বছরের মত সমাপ্তি করছি। পথ অনেক জীবন একটা! ভাল কিছু করতে গেলে এক জীবনেই করতে হবে। অনেই প্রশ্ন করে তাল গাছ কেন লাগাই। প্রথম বলি গাছের উপকারিতার কোন শেষ নেই! আর আমি শুধু তালগাছ নয় অন্যগাছও লাগায়। তবে তালগাছ একটি উদ্দেশ্য ও একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য সহ পৃথিবীর দির্ঘতম তালগাছের সারি তৈরীর লক্ষ্যে তালগাছ লাগায়। তখন প্রশ্ন করে অন্যগাছে কি সন্দর্য্য কম? আমি বলি না। তবে তাল গাছ এমন একটি বৃক্ষ যার অপতারের চেয়ে উপকারই বেশি। এই গাছ আগারে লম্বা হয়। 100 বছর বাঁচে, আশেপাশের ফসলের কোন ক্ষতি করে না। এই গাছের শিকড় মাটির নিচের দিকে যায়। ফলকরা গাছের মধ্যে বোটা শক্ত ও সহজে ঝরে পড়ে না। এই গাছ লাগানোর পর থেকে পরিচর্যা কম করা লাগে। সহজে গাছ মরে না। সব কিছু মিলিয়ে তাল গাছ বেছে নিয়েছি। এবছর রাজগঞ্জ থেকে বেলতলা এবং আশপাশের কিছু রাস্তায় প্রায় 8 থেকে 10 হাজার তালের আটি রেপন করেছে। যা আমাদের লক্ষ স্থানে পৌছাতে সংক্ষম হবে। প্রচন্ড রোদের মাঝে ঈদের আগের দিন শুক্রবার 1 সেপ্টেম্বর 2017 একটি ভ্যান গাড়িতে করে তালের আটি রোপন করা হয়। আমাদের সাথে ছিল এমামুল হোসেন, আশিকুর রহমান, সরোয়ার হোসেন, সোহেল রানা ও সকল পরিকল্পনা/ উদ্যোগক্তা নাঈম রেজা সবাই নিজে হাতে মাটি খুড়ে তালের বীজ/ আটি রোপন করেছেন। এবং 19 সেপ্টেম্বর 2014 থেকে প্রতি বছরের ধারা বাহিক ভাবে আমরা এই গাছ লাগিয়ে আসছি। আমাদের আগে লাগানো গাছ গুলি কিছু 2 পাতা, 3/4 পাতা ও 5 পাতা পর্যন্ত হয়েছে।
নাগরিক কর্তব্য এবং পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার্থে (বনায়ন বৃদ্ধি, রাস্তার মাটি ক্ষয়রোধ, শিল্প কারিগর বাবুই পাখির বাসস্থান তৈরী, গরমের পরম বন্ধু তাল পাতার হাতপাখা, যশোরের ঐতিহ্য খেজুরের গুড়, “পৃথিবীর দির্ঘতম তালগাছের প্রাকৃতিক সৌন্দয্য” দেখানোর জন্য রাস্তার দু’পার্শ্বে (70 কিঃ মিঃ) তালগাছ লাগানো শেষ করে আমরা এ বছরের মত সমাপ্তি করছি। পথ অনেক জীবন একটা! ভাল কিছু করতে গেলে এক জীবনেই করতে হবে। অনেই প্রশ্ন করে তাল গাছ কেন লাগাই। প্রথম বলি গাছের উপকারিতার কোন শেষ নেই! আর আমি শুধু তালগাছ নয় অন্যগাছও লাগায়। তবে তালগাছ একটি উদ্দেশ্য ও একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য সহ পৃথিবীর দির্ঘতম তালগাছের সারি তৈরীর লক্ষ্যে তালগাছ লাগায়। তখন প্রশ্ন করে অন্যগাছে কি সন্দর্য্য কম? আমি বলি না। তবে তাল গাছ এমন একটি বৃক্ষ যার অপতারের চেয়ে উপকারই বেশি। এই গাছ আগারে লম্বা হয়। 100 বছর বাঁচে, আশেপাশের ফসলের কোন ক্ষতি করে না। এই গাছের শিকড় মাটির নিচের দিকে যায়। ফলকরা গাছের মধ্যে বোটা শক্ত ও সহজে ঝরে পড়ে না। এই গাছ লাগানোর পর থেকে পরিচর্যা কম করা লাগে। সহজে গাছ মরে না। সব কিছু মিলিয়ে তাল গাছ বেছে নিয়েছি। এবছর রাজগঞ্জ থেকে বেলতলা এবং আশপাশের কিছু রাস্তায় প্রায় 8 থেকে 10 হাজার তালের আটি রেপন করেছে। যা আমাদের লক্ষ স্থানে পৌছাতে সংক্ষম হবে। প্রচন্ড রোদের মাঝে ঈদের আগের দিন শুক্রবার 1 সেপ্টেম্বর 2017 একটি ভ্যান গাড়িতে করে তালের আটি রোপন করা হয়। আমাদের সাথে ছিল এমামুল হোসেন, আশিকুর রহমান, সরোয়ার হোসেন, সোহেল রানা ও সকল পরিকল্পনা/ উদ্যোগক্তা নাঈম রেজা সবাই নিজে হাতে মাটি খুড়ে তালের বীজ/ আটি রোপন করেছেন। এবং 19 সেপ্টেম্বর 2014 থেকে প্রতি বছরের ধারা বাহিক ভাবে আমরা এই গাছ লাগিয়ে আসছি। আমাদের আগে লাগানো গাছ গুলি কিছু 2 পাতা, 3/4 পাতা ও 5 পাতা পর্যন্ত হয়েছে।
সদস্য ফরম
“পৃথিবী দির্ঘতম তালের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” এক যুবকের স্বপ্ন হাজার মানুষের কৌতুহল জেগেছে আজি বেজেছে মাতাল। যেখানে বাধা সেখানে সফলতা, যেখানে স্বপ্ন সেখানে পূর্ণতা, কেন বলতে হল এই কথা? শুরু থেকে অনেক বাধা অতিক্রম করে আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরে অনেক কথাই মনে পড়ে যায়। তবু কোন দিন হতাশাগ্রস্থ হয়নি। বুকভরা আশা আর স্বপ্ন সারাক্ষণ বসন্তের জানালায় কড়া নেড়েছে। শুরুতে যারা আমার সাথে ছিল তাদের অনেকেই আজ নেই। হয়তো তারা এখন মনে মনে আফসোস করে কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারে না। তাই তাদের জন্য বলি হতাশা হবেন না । কারণ আমি এটা পছন্দ করিনা। আপনাদের জন্য আমরা সর্বক্ষনিক মমতাময়ী। আপনারা আসুন আমরা সবাই মিলে এই মহৎ কাজ করি। আর নতুনরা যে কোন সময় যে কোন দিন আমাদের সাথে সন্দর্য্পূর্ণ এই কাজে অংশগ্রহন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের এক জন। আমরা এখানে একটি হাদিসের কথা দিয়ে এটুকু বলতে চাই আমাদের কাজ নিঃসন্দেহ ভাল কাজ। “মুসলিম যে গাছ লাগায় তা থেকে কোন মানুষ, কোন জন্তু এবং কোন পাখী যা কিছু খায়, তবে তা তার জন্য সাদকাহ হয়ে যায়।” (সহীহুল বুখারী ২৩২০,মুসলিম ১৫৫২) শুরু থেকে আমার একার প্রচেষ্টার মধ্যে যারা প্রথম ছিল তাদের নাম না বললেই নয় এই লিংকে জেনে নিন-http://niemreza.blogspot.com/2015/09/blogpost_13.html
আমাদের এই এক দল যুবকের আপ্রাণ প্রচেষ্টা 20 কিলোমিটার রাস্তার পাশে তালের চারা রোপন করা শেষ হয়েছে। এখন আমারা আগামী 10 সেপ্টেম্বর 2016 সালে যশোর পুলেরহাট থেকে রাজগঞ্জ হয়ে পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা। যে রোড নতুন সংস্কার হয়েছে এই রাস্তা আনুমানিক 70 থেকে 75 কিলোমিটার রাস্তা আমরা তাল গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। যে হেতু আমরা পৃথিবীর দির্ঘতম তালেগাছের সারি তৈরী করতে চাচ্ছি, তাই এই 75 কিঃ ও আমাদের আগের 20 কিঃ মোট 95 কিঃ মিঃ রাস্তা সমাপ্ত করতে পারলে হয়তো আমরা একদিন সফল হতে পারব। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিবে। আমরা চাই আমাদের স্বপ্নের সাথে আপনিও স্বপ্ন দেখুন এবং আমাদের সাথে কাজ করুন। যদি আপনি বাংলাদেশের অন্য কোন প্রান্তে থেকে থাকেন তবে কি করবেন? আমাদের 01818 655090 নং যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার মাধ্যমে সেখান থেকেও কাজ শুরু করব। কারণ আমাদের “পৃথিবী দির্ঘতম তালগাছের সারি তৈরীর লক্ষ্যে” শুধু এটাই লক্ষ নয়! “একটি বৃক্ষ হতে পারে আপনার জীবনের রক্ষা কবচ” শুধু কি আমরা তাল গাছ লাগাব? না আমরা ইতি মধ্যে 200 বাসা বাড়িতে ফলজ বৃক্ষ দিয়ছি। অতএব আমরা সকল গাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার্থে আমাদের এই সৎ সাহসের কাজ কিরছি। এটা সম্পূর্ণ সমাজ সেবার ও পর সেবার উদ্যেষে, নিজের জন্য নয়। আমরা সকলে জানি গাছ আমাদের পরম বন্ধু , “কারণ যাদের ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই তারাও এই বৃক্ষ থেকে নিঃশ্বাস নিয়েবেচে থাকে।” আপনার একটি ভাল কাজ আপনার জীবন সার্থক করে দিতে পারে। ভাল কাজ করার মজাটাই আলাদা। সিরাজগঞ্জ আজগর ভাই তার কথা না বললেই নয়। তার সাথে কথা বলে আমার জীবনের একটা বড় ভুল ভেঙ্গে গেল। তার কাছে প্রশ্ন করলাম ভাই আপনি যে গাছ লাগান অনেকেই তো ডাল, পাতা, এমন কি গাছও কেটে নিয়ে যায় । তিনি উত্তর দিলেন এগুলো করে তারা নিশ্চয় উপকৃত হয়। আর আমার উদ্যেশ্য তারা লাভবান হউক।এটাই আমার আনন্দ। সে দিন বুঝলাম মানুষ কত মহৎ হতে পারে । তাই আমাদের এই প্রচেষ্টার ফল হয়তো লক্ষ্ মানুষ ভোগ করবে আর সেটাই আমার আপনার সার্থকতা। আপনাদের আবারও আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করি। ভাল থাকবেন এই কামনাই করি।
যারা আমাদের সাথে আছেন অথবা নতুন যোগদান করতে চান তারা আজই আমাদের ফরম পূরণ করে সদস্য হয়ে যান। জীবনেরজন্য গাছ, গাছের জন্য মানুষ!
আমাদের নিয়মঃ
2। সম্পূর্ন নিজ উদ্যোগে কাজ করতে হবে।
3। সংগঠনের সকল শৃঙ্খলা মানিয়া চলিতে হবে।
4। কোন প্রকার প্রাপ্তির আশা করা যাবে না।
5। কোন দিন এই গাছের মালিকানা দাবি করা যাবে না।
6। গাছ পরিচর্যায় আগ্রহী হতে হবে।
7। সংগঠনের সকল বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে।
8। সংগঠন বহিভূত কাজ করলে যে কোন সময় কর্তৃপক্ষ সদস্য পদ বাতিল করবে।
No comments