Header top Ads

মানুষ করোনা থেকে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি

যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় পৌরসভার ছোট ছোট রাস্তা গুলি ডাস্টবিনে পরিপূর্ণ, যা ডেঙ্গু উৎপাদানের জন্য যথেষ্ট। রেলগেট এলাকায় একটি রাস্তা থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে ময়লা যুক্ত পানি আবদ্ধ। যা বৃষ্টির সময় আরো ভয়াবহ রূপ নেয়। বাসা বাড়ির টয়লেটসহ রান্না করার সমস্ত পানি রাস্তাকে অকেজো করে ফেলেছে। বৈশ্বিক মহামারির এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘনঘন হাত ধোয়ার কথা বলা হলেও, পৌরসভার এইসব জলাবদ্ধ স্থান গুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। পূর্বেই আমরা জেনেছি ডেঙ্গু সহ অন্যান্য আরও ভয়াবহ রোগ গুলো এইসব জলাবদ্ধ ডাস্টবিন থেকেই উৎপন্ন হয়। অনতিবিলম্বে যশোর পৌরসভা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।

সাধারণ একটি জরিপে পাওয়া যায়। যশোর সদরে প্রায় অর্ধশত হাসপাতলে প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হত। যার প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন প্রত্যেকদিন মারা যেত। কিন্তু মহামারী করানো ভাইরাসের কারণে সমস্ত হাসপাতালগুলো বন্ধ, ডাক্তার নেই হাসপাতালে, চিকিৎসা নেই রোগীদের। তাহলে সেই রোগী গুলো কোথায় গেল। কথা হচ্ছে প্রত্যেক দিন যে পরিমাণ রোগে আক্রান্ত হতো বিভিন্ন রোগে, এবং যে পরিমাণ রোগী মারা যেত হাসপাতালে। করোনাই কি সেই পরিমাণ রোগী আক্রান্ত হচ্ছে? আর মারা বা যাচ্ছে কতজন?
আরো কিছু কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, যে সমস্ত রোগীদের করোনা বলে সনাক্ত করা হয়েছিল, তাদের অনেকেরই ভিতরে করোনার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। গড় হিসাবে দেখা যায় যশোর সদরে প্রত্যেকদিন যে ৩০ জন মানুষ মারা যেত। সেই সমস্ত রোগে গুলো বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে বাড়িতেই, মৃত্যুর আগে তাদের ভিতর দেখা দিচ্ছে হাঁপানি, এজমা, কাশি, সোর্দি সহ বিভিন্ন রকম লক্ষণ। যা সাধারণ চিকিৎসকরা এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতায় করোনা বলে সনাক্ত করা হচ্ছে। 

সাধারণ ভুক্তভোগী দের মন্তব্য, মানুষ যখন খাবার পাচ্ছে না, চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাহলে তো মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে মরাটা স্বাভাবিক। 
বাংলাদেশ কৃষি নির্ভরশীল সোনার দেশ, এতে কোন সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে একটিমাত্র ফসল হয় সেটা হচ্ছে ইরি ধান। কৃষকদের ধারণা করোনার অজুহাত দিয়ে যদি কৃষকদের এই ফসল ঘরে তুলতে না পারে, একমাস পরে বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে, প্রায় ২ লক্ষ কৃষক মৃত্যুবরণ করবে সোনার বাংলাদেশে।
গ্রাম ঘটে ধান পাকতে শুরু করেছে। কৃষকদের মাথায় ফসল ছাড়া অন্য কোন চিন্তা নাই। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেন মানুষের ইচ্ছা শক্তি মানুষের রোগ কে ৮০% নিরাময় করেন। কৃষকদের মুখে হাসির জন্য কর্ম করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
কিছু কিছু তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে করনার থেকে অন্যান্য রোগে সারা পৃথিবীতে প্রায় প্রতিবছর অনেক লোক মারা যায়। কিন্তু করোনাকে পুঁজি করে বিশ্বব্যাপী যে নাটক করা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ভবিষ্যতের জন্য খুবই ভয়াবহ। 

ধর্মপ্রাণ মানুষ গুলো বলতে চাচ্ছে, যেখানে বাজার ঘাট, সরকারি অফিস, মিল কলকারখানা সবই চলছে যথারীতি। তাহলে কেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দেওয়া হল। একটি ছোট বাজারে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষ, কিন্তু একটি মসজিদে সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ নামাজ পড়ে। একটি বাজার চলে ৬ ঘন্টা, কিন্তু একটি মসজিদে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট নামাজ হয়। তাহলে কি বাজারে থেকে নামাজি অনেক ভয়াবহ? সবকিছু বিবেচনা করে সাধারণ মানুষ গুলো বলতে চাচ্ছে করণাকে নয় জীবনকে বাঁচান।

No comments

Powered by Blogger.