Header top Ads

How to protect yourself from coronavirus, according to the White House.


পবিত্র কুর'আনুল কারীমে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
কোরআন কারিমে হজরত ঈসা (আ.)এর নাম বিভিন্ন প্রসঙ্গে ২৫ বার উল্লেখ হয়েছে। হজরত মরিয়ম (আ.)এর নামে কোরআনুল কারিমে একটি স্বতন্ত্র সুরাও রয়েছে এবং মরিয়ম শব্দটি কোরআন কারিমে নানানভাবে ৩৫ বার উল্লিখিত হয়েছে। হজরত ঈসা (আ.)এর সৃষ্টি হজরত আদম (আ.)এর মতো। আল্লাহর নিকট নিশ্চয় ঈসা (আ.)এর দৃষ্টান্ত আদম (আ.)এর দৃষ্টান্তসদৃশ। তিনি তাকে মৃত্তিকা হতে সৃষ্টি করেছিলেনঅতঃপর তাকে বলেছিলেন হও”, ফলে সে হয়ে গেল।’ (সুরা-৩আল ইমরানআয়াত: ৫৯)।


1.  
তোমরা যেখানে যে অবস্থায়ই থাকো না কেনমৃত্যু তোমাদের ধরবেই।
যতো মজবুত কিল্লার মধ্যেই তোমরা অবস্থান করো না কেন।
[
সূরা নিসাআয়াত ৭৮]

2. জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতঃপর তোমরা আমারই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। (Al-Ankaboot: 57)

3. প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভালো দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।’ [সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৩৫]
4তোমরা যেখানেই থাক না কেনমৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান করতবুও।’ [সুরা আন নিসা : আয়াত- ৭৮]


5. যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসেতখন সে বলেহে আমার পালনকর্তা! আমাকে পুনরায় (দুনিয়াতে) প্রেরণ করুন। যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারিযা আমি করিনি। কখনই নয়এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত।’ [সুরা আল মুমিনুন : আয়াত ৯৯-১০০]

6.  
যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসেতখন সে বলেহে আমার পালণকর্তা ! আমাকে পুনরায় (দুনিয়াতে ) প্রেরণ করুন।
[
সূরা আল-মুমিনুনআয়াত ৯৯]

7.  
কোনো প্রাণীই জানে না কোথায় এবং কিভাবে তার মৃত্যু হবে।
[
সূরা লোকমানআয়াত ৩৪]

8. “নিশ্চয় একমাত্র আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং (মায়ের) গর্ভাশয়ে যা থাকেতিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞসর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।”  সূরা লোকমান(৩১:৩৪)




হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল!
1.  সবচাইতে বুদ্ধিমান লোক কেতিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনযে ব্যক্তি অধিকহারে মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যস্ত থাকে। (ইবনে মাজাহ)

2. বস্তু (মানুষের যখন কবরের আযাব শুরু হয়ে যায়) তার
আওয়াজ মানুষ বেতিত সকল প্রাণি শুনতে পায়্মানুষ যদি তা শুনতে পেততবে বেহুশ হয়ে পরত।"
[সহীহ বুখারী- ১২৩৮]

3. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- হে মানব সম্প্রদায়! সুখ-শান্তি বিনাশকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি করে স্মরণ করো। (তিরমিজিনাসাঈইবনে মাজাহ)

4. একদিন রাসুল (সা.) আয়েশার (রা.) কাছে গেলেন। দেখলেন আয়েশা কপালে একটি জলপট্টি দিয়ে আছেন এবং ব্যথার প্রকোপে কাঁপছেন। রাসুল (সা.) জিজ্ঞেস করেন, ‘কী হয়েছে তোমার আয়েশা?’ বলেন, ‘জ্বর হয়েছে। আল্লাহ দ্রুত আরোগ্য দান করুন।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘জ্বরকে মন্দ বোলো না। এটি বনি আদমের গুনাহকে এভাবে দূর করে দেয়যেভাবে আগুন শুকনো লাকড়িকে জ্বালিয়ে শেষ করে দেয়।’ (মুসলিমহাদিস: ২৫৭৫)


5. আরেকবার নবী (সা.) প্রচণ্ড জ্বরে কাঁপছিলেন। এমন সময় ­­আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নবী (সা.)-এর কাছে এলেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘মুমিন যখন কোনো (বিপদ) কষ্টে আক্রান্ত হয়তখন আল্লাহ বিনিময়ে তার গুনাহগুলো (ঝরিয়ে দেন) মাফ করে দেনযেমন (শীতকালে) গাছের পাতা ঝরে পড়ে।’ (মুসলিমহাদিস: ৫৬৪৭)

বিশ্বনবির উল্লেখিত হাদিসগুলো দ্বারা এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, ‘মৃত্যুর স্মরণই মানুষকে আখিরাতের জন্য প্রস্তুত করে এবং নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। অন্যায়-অসত্য পথ পরিহার করতে সহায়তা করে।

আমাদেরকে প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে। মনে করতে হবে আজকের নামাযই শেষ নামাযআজকের দিনই শেষ দিন। আর প্রতিদিন মৃত্যুকে স্বরণ করতে হবে।      
  •  

2 comments:

  1. সুন্দর একটি পোস্ট মামা।
    ভাল লাগলো

    ReplyDelete

Powered by Blogger.